AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ভ্যাকসিন অপচয় রোখায় জোর প্রধানমন্ত্রীর, ‘সুপারফ্লপ মিটিং’ পাল্টা মমতার

প্রধানমন্ত্রী জানান, ভ্যাকসিনের এক ডোজ়ের অপচয় মানে দেশে দ্বিতীয় ঢেউয়ের যুদ্ধে অনেকটা পিছিয়ে যাওয়া।

ভ্যাকসিন অপচয় রোখায় জোর প্রধানমন্ত্রীর, 'সুপারফ্লপ মিটিং' পাল্টা মমতার
ফাইল চিত্র
| Updated on: May 20, 2021 | 1:38 PM
Share

নয়া দিল্লি: ১১ রাজ্যের জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। বৈঠকে ছিলেন করোনা বিধ্বস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও। করোনা বিধ্বস্ত কেরল, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, পশ্চিমবঙ্গ- সহ মোট ১১ রাজ্যকে নিয়ে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বৈঠকে বসেছিলেন নমো। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন অপচয় নিয়ে বার্তা দেন। তিনি বলেন, “আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা কোনও ভ্যাকসিন অপচয় করছি না।”

প্রধানমন্ত্রী জানান, ভ্যাকসিনের এক ডোজ়ের অপচয় মানে দেশে দ্বিতীয় ঢেউয়ের যুদ্ধে অনেকটা পিছিয়ে যাওয়া। তিনি বলেন, “ভ্যাকসিনের সঙ্কট নিয়ে সমস্যা রয়েছে। আপনারা ভ্যাকসিন পেলে নিশ্চিত করতে হবে যেন কোনও অপচয় না হয়। শহর ও গ্রামীণ দুই দিকেই নজর রাখতে হবে।” পাশাপাশি করোনায় শিশুদের আক্রান্ত হওয়া নিয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠকে ছিলেন বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক শেষ করে সাংবাদিক বৈঠকে রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। মমতা দাবি করেন, বৈঠকে বলার সুযোগই দেওয়া হয়নি কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে। যা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিপক্ষে বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি কেন্দ্রের টিকাকরণ নীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা। বৈঠকে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বাস্থ্য সচিব। বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, “আমাদের কাউকে ১ সেকেন্ডের জন্য কিছু বলতে দেওয়া হয়নি। পছন্দমতো কয়েকজন বিজেপি রাজ্যের জেলা শাসকদের বলতে দিয়ে ভাষণ দিয়ে শেষ করে দিয়েছে।” তাঁর আরও দাবি, সব কাগজপত্র তৈরি করে রাখার পরেও একটা কথা বলতে দেয়নি কেন্দ্র। বৈঠককে ‘ক্যাজুয়াল সুপারফ্লপ’ আখ্যা দেন তিনি।

উল্লেখ্য, একুশের বঙ্গযুদ্ধের ফল ঘোষণার পর এই প্রথম নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখোমুখি হয়েছিলেন। রাজ্যের ডামাডোল পরিস্থিতিতে মমতা ও মোদীর বৈঠক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা মিলবে বলেই মনে করছিলেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

আরও পড়ুন: দেশে দ্বিতীয় ঢেউয়ের ইতি ও তৃতীয় ঢেউয়ের শুরু কবে?