S Jaishankar: ‘একটা দেশ প্রকাশ্যেই সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রনীতি ঘোষণা করেছে’, পাকিস্তানকে ধুয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী, হাততালি দিল সবাই
India-Pakistan: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, " স্বাধীনতার পর থেকে ভারতকে এই প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়তে হচ্ছে, এমন প্রতিবেশী রয়েছে যারা বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের মূলকেন্দ্র। বহু দশক ধরেই সমস্ত বড় বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা একটি দেশ থেকেই হয়েছে। এর সাম্প্রতিক উদাহরণ হল চলতি বছরের এপ্রিল মাসে পহেলগাঁওতে নির্দোষ পর্যটকদের নৃশংসভাবে হত্যা।"

নিউ ইয়র্ক: পদে পদে অপদস্থ হচ্ছে পাকিস্তান। এবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর পাকিস্তানকে আক্রমণ করলেন সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে। সোজাসুজি বললেন, কিছু দেশ সন্ত্রাসবাদকে তাদের রাষ্ট্র নীতিতে পরিণত করেছে। তাঁর কথা শুনে রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চ হাততালিতে ফেটে পড়ে।
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপুঞ্জের সভায় বক্তব্য রাখতে উঠেই বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর প্রথমে বলেন, “ভারতের মানুষদের তরফ থেকে নমস্কার”। রাষ্ট্রপুঞ্জ গঠনের যে উদ্দেশ্যগুলি ছিল, শুধু যুদ্ধ থামানো নয়, বরং শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং শুধুমাত্র অধিকার রক্ষা নয়, বরং প্রতিটি মানুষের মর্যাদা রক্ষা করা- সে কথা মনে করিয়ে দেন বিদেশমন্ত্রী।
এরপরই পাকিস্তানকে পরোক্ষে আক্রমণ করেন বিদেশমন্ত্রী। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ” স্বাধীনতার পর থেকে ভারতকে এই প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়তে হচ্ছে, এমন প্রতিবেশী রয়েছে যারা বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের মূলকেন্দ্র। বহু দশক ধরেই সমস্ত বড় বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা একটি দেশ থেকেই হয়েছে। এর সাম্প্রতিক উদাহরণ হল চলতি বছরের এপ্রিল মাসে পহেলগাঁওতে নির্দোষ পর্যটকদের নৃশংসভাবে হত্যা।”
ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জয়শঙ্কর বলেন, নিজের অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি আমাদের এমন হিংসা, হুমকির বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়াতে হবে। সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ করা বিশেষভাবে জরুরি কারণ এটি ঘৃণা, হিংসা, অসহিষ্ণুতা এবং ভয় তৈরি করে।
অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ভারত নিজেদের নাগরিকদের রক্ষা করার অধিকার প্রয়োগ করেছে এবং অপরাধীদের শাস্তি দিয়েছে। তবে একইসঙ্গে গোটা বিশ্বের কাছেও বার্তা দেওয়া হয়েছে। নাম না করেই পাকিস্তানকে আক্রমণ করে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, “যখন কোনও দেশ প্রকাশ্যেই সন্ত্রাসবাদকে নিজের দেশের নীতি হিসাবে ঘোষণা করে, যখন সেই দেশে শিল্পের পর্যায়ে সন্ত্রাস কেন্দ্র পরিচালিত হয়, জঙ্গিদের জনগণের সামনে মহিমানিত্ব করা হয়, তাহলে এই ধরনের কাজের নিন্দা করা উচিত।”
