নয়া দিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের লড়াই শেষ। এবার সরকার গড়ার পালা। কিন্তু এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। তাই সরকার গড়ার ক্ষেত্রে এবার জোটসঙ্গীদের দিতে হচ্ছে বিশেষ গুরুত্ব। শরিকরাও এবার একাধিক মন্ত্রকের দাবি জানিয়েছে। শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত হল? মন্ত্রী হচ্ছেন কারা?
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সংসদে এনডিএ-র বৈঠকের পরই বিজেপি নেতা জেপি নাড্ডা জোটসঙ্গী জেডিইউ, জেডিএস, এনসিপি (অজিত পওয়ার), শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে) ও এলজেপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ ও রাজনাথ সিংও।
বৈঠকের পরই টিডিপি-র রামমোহন নাইডু, এলজেপি-র জয়ন্ত চৌধুরি, জেডিইউ-র ললন সিং, জেডিএসের কুমারস্বামী, আপনা দলের অনুপ্রিয়া পটেল, এলজেপির চিরাগ পাসওয়ানের নাম উঠে আসছে সম্ভাব্য মন্ত্রী হিসাবে।
নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর টিডিপি ও জেডিইউ মন্ত্রীপদেই বিশেষ আগ্রহ দেখালেও, সূত্রের খবর বৈঠকের পর তারা নিজেদের রাজ্যের তহবিলের প্রতিই বেশি আগ্রহ দেখিয়েছেন। অন্ধ্র প্রদেশ ও বিহারের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা সময়মতো পাওয়া এবং বিজেপি যাতে তাদের সরকার পরিচালনায় খুব বেশি নাক না গলায়, এই শর্তগুলিতেই রাজি হয়েছে টিডিপি ও জেডিইউ।
সূত্রের খবর, এবার মন্ত্রিসভায় তিনটি পদ পেতে পারে টিডিপি। এর মধ্যে একজন পূর্ণ মন্ত্রী ও দুইজন প্রতিমন্ত্রী হতে পারেন। জেডিইউ-ও একই ফর্মূলায় একজন পূর্ণ মন্ত্রী ও দুইজন প্রতিমন্ত্রী পেতে পারে। তবে তাদের রেল মন্ত্রকের দাবি পূরণ না হওয়ার সম্ভবনাই প্রবল।
তথ্য অনুযায়ী, নতুন মন্ত্রিসভায় বিজেপির পক্ষ থেকে রয়েছেন রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, নিতিন গড়করি, এস জয়শঙ্কর। ডঃ মহেশ শর্মা, এসপি সিং বাঘেল, অনুরাগ ঠাকুর, পীযূষ গোয়েল, মনসুখ মান্ডব্য, নিত্যানন্দ রাই, অর্জুনরাম মেঘওয়াল, গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, রাজীব প্রতাপ রুডি, ভিডি শর্মা, শিবরাজ সিং চৌহানকেও মন্ত্রী করা হতে পারে।
পাশাপাশি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, বীরেন্দ্র কুমার, মনোহর লাল খট্টর, রাও ইন্দ্রজিৎ, ভূপেন্দ্র যাদব, ডঃ জিতেন্দ্র সিং, বৈজয়ন্ত পান্ডা, অপরাজিতা সারঙ্গি, শান্তনু ঠাকুর, জিতেন্দ্র সিং, বিপ্লব দেব, সর্বানন্দ সোনওয়াল, হরদীপ পুরি, সঞ্জয় বান্ডি/জি কিষাণ রেড্ডি,/ইতেলা রাজেন্দ্র, প্রহ্লাদ জোশী, শোভা করন্দজলে, পিসি মোহন, নারায়ণ রানে, শ্রীপাদ নায়েকের নামও মন্ত্রী হিসাবে শোনা যাচ্ছে।