Mehul Choksi: অবশেষে টিকি মিলল মেহুল চোকসির, ১৩ হাজার কোটি টাকা ‘হজম’ করে বসে আছেন ইউরোপের এই দেশেই!
Fugitive Mehul Choksi: স্ত্রীর নাগরিকত্বকে হাতিয়ার করেই বেলজিয়ামে রয়েছেন মেহুল চোকসি। তিনি ভুয়ো নথিপত্র দেখিয়েছেন অস্থায়ী নাগরিকত্বের জন্য। তবে সূত্রের খবর, বেলজিয়ামের স্থায়ী নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টা করছেন চোকসি।

নয়া দিল্লি: ১৩ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা! পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে এত টাকাই প্রতারণা করে ভারত ছেড়ে পালিয়েছেন ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি। অবশেষে তাঁর টিকি খুঁজে পেল সরকার। জানা গেল, ভারত থেকে পালিয়ে বর্তমানে বেলজিয়ামে থাকছেন মেহুল চোকসি। তাঁর হদিস মিলতেই পলাতক ওই ব্যবসায়ীকে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করছে ভারত সরকার। এমনটাই সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, মেহুল চোকসি তাঁর স্ত্রী প্রীতি চোকসিকে নিয়ে বেলজিয়ামে অ্যানটোয়ার্পে থাকছেন। চোকসির স্ত্রী বেলজিয়ামের নাগরিক। তাই মেহুল চোকসির গা ঢাকা দিতে বিশেষ সমস্যা হয়নি। ২০২৩ সাল থেকে তিনি ‘এফ রেসিডেন্সি কার্ডে’ অ্যানটোয়ার্পো থাকছেন।
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্য়াঙ্ক থেকে ১৩ হাজার ৮৫০ কোটি টাকার প্রতারণা করেন গুজরাটের হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি। ইডি, সিবিআই তদন্ত শুরু করতেই ২০১৮ সালে দেশ ছেড়ে পালান। পালিয়ে যান তাঁর ভাইপো নীরব মোদীও। তাঁর বিরুদ্ধেও কয়েকশো কোটির আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালে তিনি মুম্বইয়ের স্পেশাল কোর্টে জানিয়েছিলেন, তাঁর নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা কিছু কারণের জন্য ভারতে ফিরতে পারছেন না। তাঁকে পলাতক আর্থিক প্রতারক যেন না বলা হয়।
জানা গিয়েছে, স্ত্রীর নাগরিকত্বকে হাতিয়ার করেই বেলজিয়ামে রয়েছেন মেহুল চোকসি। তিনি ভুয়ো নথিপত্র দেখিয়েছেন অস্থায়ী নাগরিকত্বের জন্য। তবে সূত্রের খবর, বেলজিয়ামের স্থায়ী নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টা করছেন চোকসি। তিনি এখনও ভারতীয় নাগরিকত্ব ছাড়েননি। মেহুল চোকসির আবার দ্বীপরাষ্ট্র অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডার নাগরিকত্ব রয়েছে। তিনি যদি বেলজিয়ামের যদি নাগরিকত্ব পেয়ে যান, তবে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলিতে তাঁর যাতায়াতে আর কোনও সমস্যা থাকবে না। তখন ভারতের আরও সমস্যা হবে পলাতক ব্যবসায়ীকে দেশে ফেরাতে।
বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মেহুল চোকসি অসুস্থ। তিনি সুইৎজারল্যান্ডের একটি ক্যানসার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করছেন। হাসপাতালে ভর্তি হলেই মানবিকতা বা হিউম্যানিটরিয়ান গ্রাউন্ডে চোকসি আবেদন করতে পারবেন যে তাঁকে যেন ভারতে ফেরত পাঠানো না হয়।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সংসদে জানিয়েছিলেন যে মেহুল চোকসির সম্পত্তি বিক্রি করে ২২ হাজার ২৮০ কোটি টাকা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।





