Gold conceal: দেহের মধ্যেই সোনা লুকিয়ে বিমানে পাড়ি, ৬ জনের থেকে উদ্ধার ৩ কোটির সোনা
Gold seized: শনি ও রবিবার কালিকট বিমানবন্দর থেকে মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করেছেন অভিবাসন দফতরের গোয়েন্দারা। তাদের কাছ থেকে প্রায় ৫.৪ কেজি সোনা উদ্ধার হয়েছে। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। পাচারের উদ্দেশ্যেই গোপনে এই বিপুল পরিমাণ সোনা দুবাই, দোহা ও রিয়াধ নিয়ে আসা হয়েছিল।
কালিকট: দেহের বিভিন্ন অংশেই কয়েক কোটি টাকার সোনা (Gold) লুকিয়ে দুবাই থেকে ভারতে এসেছিল। কিন্তু, শেষরক্ষা হল না। কেরলের কালিকট বিমানবন্দরে (Calicut Airport) নামতেই অভিবাসন দফতরের গোয়েন্দাদের হাতে পাকড়াও হল। গত শনি ও রবিবার কালিকট বিমানবন্দর থেকে মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করেছেন অভিবাসন দফতরের গোয়েন্দারা (Customs officers)। তাদের কাছ থেকে প্রায় ৫.৪ কেজি সোনা উদ্ধার হয়েছে। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। পাচারের উদ্দেশ্যেই গোপনে এই বিপুল পরিমাণ সোনা দুবাই, দোহা ও রিয়াধ নিয়ে আসা হয়েছিল বলে অভিবাসন দফতর সূত্রে খবর।
অভিবাসন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ৬ জন দুবাই, দোহা ও রিয়াধ থেকে সোনা নিয়ে পাচারের উদ্দেশ্যে ভারতে এসেছিল। ধৃতরা সকলে কেরলের বাসিন্দা। এদের মধ্যে মহম্মদ বাসির পারায়ুরকান্দিয়িলি নামে ৪০ বছর বয়সি এক ব্যক্তি নিজের দেহে ৬১৯ গ্রাম সোনা লুকিয়ে রেখেছিল। কেরলের কোঝিকড়েরই বাসিন্দা বাসির। সে সোনা নিয়ে রিয়াধ থেকে কালিকট বিমানবন্দরে আসে। কোঝিকড়ের আরেক বাসিন্দা কারুমবারুকুঝিইল মহম্মদ মিদলাদের কাছ থেকে ৯৮৫ গ্রাম সোনা উদ্ধার হয়েছে। সে একটি বেডশিটের ভিতর কাগজ দিয়ে মুড়ে সোনা নিয়ে আসছিল। আবার শ্রী লিজেশ নামে এক ব্যক্তির থেকে দুটি ক্যাপসুল উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে ৫৪৩ গ্রামে সোনা লুকিয়ে রাখা ছিল। দোহা থেকে আগত আজিজ নামে এক যুবক দেহের মধ্যে চারটি ক্যপসুল লুকিয়ে রেখেছিল। যেগুলির মধ্য থেকে ৯৭০ গ্রাম সোনা উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া মালাপ্পুরমের বাসিন্দা সমীর এবং সাকিরের থেকে ১,২৭৭ ও ১,০৬৬ গ্রাম সোনা উদ্ধার করেছে অভিবাসন দফতর।
অর্থাৎ পাচারকারীরা যে অভিনব উপায়ে সোনা এক দেশ থেকে অন্য দেশে নিয়ে আসছে, তা কালিকট বিমানবন্দরে ৬ জনের থেকে সোনা উদ্ধারের ঘটনাতেই স্পষ্ট।