Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Congress-TMC: একশো দিনের কাজ নিয়ে এবার সংসদে সরব সনিয়া, কাছাকাছি আসছে কংগ্রেস-তৃণমূল?

Congress-TMC: এপিক ইস্যুতে গত সপ্তাহে লোকসভায় সৌগত রায় সরব হওয়ার পরই উঠে দাঁড়িয়ে সমর্থন জানিয়ে সমস্বরে আলোচনার দাবি জানান লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। রাজ্যসভাতেও ডেরেক ও'ব্রায়েনদের সুরে সুর মিলিয়ে এপিক ইস্যু উত্থাপন করেছেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে।

Congress-TMC: একশো দিনের কাজ নিয়ে এবার সংসদে সরব সনিয়া, কাছাকাছি আসছে কংগ্রেস-তৃণমূল?
ফের কি কাছাকাছি আসছে কংগ্রেস ও তৃণমূল?Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 18, 2025 | 8:53 PM

নয়াদিল্লি: প্রকাশ্যে না হলেও পরোক্ষ বার্তা দিয়ে ফের একে অপরের কাছাকাছি কংগ্রেস ও তৃণমূল। যদিও বিরোধী শিবিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের দাবিতে অনড় ঘাসফুল শিবির। ১০০ দিনের টাকার ইস্যুতে সংসদে এতদিন একতরফা সরব ছিল তৃণমূল। এবার রাজ্যসভায় সেই ইস্যু তুললেন স্বয়ং কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী। ১০০ দিনের কাজে পারিশ্রমিক বাড়ানোর দাবি জানালেন। বাজেটে একশো দিনের কাজের জন্য বরাদ্দ না বাড়ানো নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন। তাঁর সেই দাবিকে স্বাগত জানালেন তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, কংগ্রেস ইগো ছাড়লে একসঙ্গে কাজ করতে কোনও অসুবিধা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেত্রী হিসেবে মেনে নিলে বিজেপিকে হারানো সম্ভব বলেও তিনি দাবি করেন।

বিরোধী শিবিরের অন্দরের খবর, তৃণমূলের সুরে সুর মিলিয়ে সনিয়ার এদিনের বক্তব্য কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং তৃণমূল এবং কংগ্রেসের নিঃশব্দে ফের কাছাকাছি আসার ধারাবাহিক পদক্ষেপের অংশ মাত্র। সূত্রের খবর, প্রকাশ্যে এক টেবিলে বৈঠকে না বসলেও, ফ্লোর কো-অর্ডিনেশন নিয়ে ফোনে অন্যান্য বিরোধী দলের পাশাপাশি কংগ্রেসের সঙ্গেও আলোচনা করছে তৃণমূল। সনিয়া গান্ধী যে রাজ্যসভায় এই ইস্যু উত্থাপন করবেন, তা নিয়ে সোমবার রাতেই কংগ্রেস এবং তৃণমূল নেতাদের মধ্যে ফোনে কথা হয়ে গিয়েছিল। আজ একশো দিনের কাজ নিয়ে সনিয়া গান্ধীর বক্তব্যের সঙ্গে তৃণমূলের সব সাংসদ নিজেদের নাম অ্যাসোসিয়েট করেন। পাল্টা ফ্লোর কো-অর্ডিনেশনের দায়বদ্ধতা মেনে সাকেত গোখেলের এপিক সংক্রান্ত ইস্যুর সঙ্গে নিজেদের নাম অ্যাসোসিয়েট করেন কংগ্রেস সাংসদরা।

প্রসঙ্গত, এপিক ইস্যুতে গত সপ্তাহে লোকসভায় সৌগত রায় সরব হওয়ার পরই উঠে দাঁড়িয়ে সমর্থন জানিয়ে সমস্বরে আলোচনার দাবি জানান লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। রাজ্যসভাতেও ডেরেক ও’ব্রায়েনদের সুরে সুর মিলিয়ে এপিক ইস্যু উত্থাপন করেছেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতাকে কেন বলতে দেওয়া হয়নি তা নিয়ে সংসদের বাইরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে সরব হন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই খবরটিও পড়ুন

সনিয়া গান্ধীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেস ইগো ছেড়ে একসঙ্গে কাজ করলে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেত্রী হিসেবে মেনে নিলে বিজেপিকে হারানো মোটেও অসম্ভব নয়।