Recruitment Scam: ভুয়ো সার্টিফিকেট দেখিয়ে বাগিয়ে ছিলেন সরকারি চাকরি, ২৬ বছরের বেতন ফেরতের নির্দেশ শিক্ষককে
Fake Certificate: ২৬ বছর আগে যোগীন্দর কুমার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ভুয়ো মার্কশিট দেখিয়ে সরকারি চাকরি পেয়েছিলেন। এরপরই ওই শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হয় এবং কর্মজীবনের ২৬ বছরের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের তরফে।
নয়া দিল্লি: চাকরি চুরি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কীভাবে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছিল, তার তদন্ত করছে সিবিআই (CBI) ও ইডি (ED)। বাতিল হয়েছে হাজার হাজার চাকরিও। তবে এই চাকরি চুরির দুর্নীতি বাংলাতেই নয়, ভিন রাজ্যেও রয়েছে। এবার তারই প্রমাণ মিলল। ভুয়ো মার্কশিট দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে বাতিল করা হল এক ব্যক্তির চাকরি (Job Cancel)। একইসঙ্গে তাঁকে বেতন ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হল। তবে এক- দুই বছর নয়, ২৬ বছরের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল গ্রেটার নয়ডা(Greater Noida)-র এক ভুয়ো শিক্ষককে। জানা গিয়েছে, বিগত ২৬ বছর ধরে ওই ব্যক্তি সরকারি স্কুলে চাকরি করছিলেন। সম্প্রতিই তদন্ত করে জানা যায়, ওই ব্যক্তি ভুয়ো সার্টিফিকেট দেখিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম যোগীন্দর কুমার সিং। তিনি গ্রেটার নয়ডার পাতরাহি গ্রামের বাসিন্দা। ১৯৯৭ সালে ওই ব্যক্তি দ্বাদশ শ্রেণির ভুয়ো মার্কশিট তৈরি করেন এবং তা দেখিয়ে সরকারি প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পান। সেই সময়ে কেউ তাঁর সার্টিফিকেট যাচাই করে দেখেননি। সম্প্রতিই শিক্ষা দফতর নিয়োগ হওয়া শিক্ষকদের নথিপত্র নিয়ে তদন্ত শুরু করতেই ভুয়ো সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি পাওয়ার বিষয়টি সামনে আসে।
দাদরির ব্লক এডুকেশন অফিসার নরেন্দ্র কুমার শ্রীবাস্তবের কাছেই প্রথম ভুয়ো চাকরির অভিযোগ এসেছিল। যোগীন্দর কুমার নামক ওই শিক্ষক ভুয়ো সার্টিফিকেট দেখিয়ে চাকরি পেয়েছেন, ব্লক এডুকেশন অফিসারের কাছে এই অভিযোগ আসতেই তদন্ত শুরু করে শিক্ষা দফতর। তদন্তে দেখা যায়, সত্যিই ওই ব্য়ক্তি ভুয়ো সার্টিফিকেট দেখিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন।
গৌতমবুদ্ধ নগরের বেসিক এডুকেশন অফিসার ঐশ্বর্য্য লক্ষ্মী জানান, ২৬ বছর আগে যোগীন্দর কুমার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ভুয়ো মার্কশিট দেখিয়ে সরকারি চাকরি পেয়েছিলেন। এরপরই ওই শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হয় এবং কর্মজীবনের ২৬ বছরের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের তরফে। ওই শিক্ষককে সরকারের তরফে যে যে ইলেকট্রনিক ডিভাইস দেওয়া হয়েছিল কর্মসূত্রে, তাও ফেরত দিতে বলা হয়েছে। শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, যদি অভিযোগ দায়ের না হত, তবে ২০৩৬ সাল অবধি চাকরি বহাল থাকত যোগীন্দর কুমারের।
এদিকে, ভুয়ো সার্টিফিকেট দেখিয়ে চাকরি পাওয়ার বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।