Gujarat: বসকে হানিট্র্যাপে ফেলল ‘অপমানিত’ কর্মীরা, চতুর্দিকে ছড়িয়ে গেল নগ্ন ছবি
Gujarat boss honey-trapped: আপনাকে কি অফিসে প্রায়শই বসের গালমন্দ সহ্য করতে হয়? নাকি আপনি বস হয়ে কর্মচারীদের প্রায়শই বকা-ঝকাস অপমান করে থাকেন? গুজরাটের ভদোদরার এক অফিসে এই বিষয় নিয়ে ঘটে গেল এক অদ্ভুত কাণ্ড।
ভদোদরা: আপনি যদি এমন কোনও কর্মী হন, যাকে প্রায়শই অফিসে বসের গালমন্দ সহ্য করতে হয়, তাহলে এই খবরটি আপনারই জন্য। আবার আপনি যদি উল্টোদিকে থাকেন, অর্থাৎ, কোনও অফিসের বস হন এবং কর্মচারীদের প্রায়শই বকা-ঝকা অপমান করে থাকেন, তাহলে এই খবরটি আপনার জন্যও। গুজরাটের ভাদোদরায়, অফিসে কর্মচারীদের অপমান করার জেরে রাতের ঘুমই চলে গিয়েছিল এক ব্যক্তির। তাঁর দুই প্রাক্তন কর্মচারী সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে ওই ব্যক্তির নগ্ন ছবি ছড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। অপমানকারী বসকে, হানি-ট্র্যাপে ফেলে ওই ছবিগুলি সংগ্রহ করেছিলেন তাঁরা। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই অভিনব কাহিনি –
জানা গিয়েছে, বসের কাছ থেকে নিয়মিত অপমান সহ্য করতে না পেরে চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত দুই কর্মী- একজন পুরুষ এবং একজন মহিলা। এরপর, প্রাক্তন বসের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তাঁকে হানিট্র্যআপে ফেলর পরিকল্পনা করেছিলেন ওই মহিলা কর্মচারী। পাশে পেয়েছিলেন ওই পুরুষ সহকর্মীকেও। চাকরি ছাড়ার তিন মাস পর দুজনে হাত মিলিয়ে এক কাল্পনিক মহিলার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছিলেন। তারপর, সেই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বন্দুত্ব পাতিয়েছিলেন বসের সঙ্গে। দুই পক্ষের গল্পগুজবের মধ্যে শিগগিরই প্রবেশ করেছিল যৌনতা। বিভিন্ন যৌনরসাত্মক কথাবার্তা হত। এরপর, ইন্টারনেট থেকে কিছু নগ্ন ছবি ডাউনলোড করে, ওই ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে বসকে পাঠান তাঁরা। পাল্টা বসও, নিজের নগ্ন ছবি পাঠিয়েছিলেন। ফলে, বসের রাতের ঘুম ওড়ানোর জাদুকাঠি এসে গিয়েছিল ওই দুই কর্মীর হাতে।
তাঁরা ওই নগ্ন ছবিগুলি এবং তাদের যৌনতা ভরা চ্যাটের স্ক্রিনশট বসকে ই-মেইল করে সেগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে সেগুলি বসের স্ত্রী এবং অন্যান্য বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। এমনতি, সেগুলির প্রিন্টআউট বের করে অফিসের অন্যান্য কর্মীদের এবং মানব সম্পদ উন্নয়ন বিভাগেও পাঠান তাঁরা। বসের মানসিক চাপ আরও বাড়িয়ে দিতে, তাঁরা গোপনে বসের পিছু নেওয়াও শুরু করেন। তাঁর সাম্প্রতিক এক শপিং মল ভ্রমণের ছবিও তাঁরা বসকে ই-মেইল করে পাঠিয়েছিলেন। ফলে, কেউ বা কারা তাঁর উপর নজর রাখছে ভেবে, আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বস।
এই ভাবে প্রায় তিন মাস চলার পর, অবশেষে সাইবার ক্রাইম পুলিশের দ্বারস্থ হন বস। অভিযোগ নথিভুক্ত করার পর, পুলিশ তদন্ত শুরু করে। আইপি অ্যাড্রেসের সূত্র ধরে ওই দুই প্রাক্তন কর্মীর সন্ধান পাওয়া যায়। পুলিশ জানিয়েছে, বসকে ‘শিক্ষা’ দিতেই তাঁর জীবন দুর্বিষহ করে তুলতে চেয়েছিলেন ওই দুই কর্মী। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর, বস তাঁর অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।