‘ঈশ্বরের ভরসায় রয়েছেন মানুষ’, করোনার হাল দেখে রাজ্যকে তুলোধনা গুজরাট হাইকোর্টের
গুজরাট হাইকোর্টের তরফে সরকারকে বলা হয়,"আপনারা বলছেন কোনও ঘাটতি নেই। আমরা তার ফল দেখতে চাই।"
আহমেদাবাদ: বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফিরে এসেছে একই চিত্র। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি ও সাধারণ মানুষের সমস্যা নিয়ে ফের একবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল গুজরাট হাইকোর্ট। এ দিন আদালতে শুনানিতে বিচারপতি বিক্রম নাথের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, রাজ্যের করোনা সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে, তাতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা জরুরি পরিস্থিতির দিকেই এগোচ্ছে। সাধারণ মানুষ এখন ঈশ্বরের ভরসায় রয়েছেন।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গুজরাট সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে, সে সম্পর্কে অ্যাডভোকেট জেনারেল কমল ত্রিবেদী জানালে, জবাবে হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, “সরকারের দাবির থেকে বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। আপনারা বলছেন সবকিছু ঠিক রয়েছে। কিন্তু বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।”
রাজ্যের সাধারণ মানুষের মনে বিশ্বাসের অভাব দেখা গিয়েছে বলেও জানায় আদালত। রেমিডেসিভির ইঞ্জেকশনের ঘাটতি প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, “আপনারা বলছেন রেমিডেসিভিরের কোনও ঘাটতি নেই। সবকিছুই আপনাদের কাছে মজুত রয়েছে। আমরা ফল দেখতে চাই, কারণ নয়।”
রাজ্যে করোনা পরীক্ষা দেরিতে হওয়া এবং তার রিপোর্ট দেরিতে আসার বিষয়টিও শুনানিতে উল্লেখ করে আদালত। সরকার পক্ষকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “একটি আরটি-পিসিআর ট্স্টের রিপোর্ট আসতেই পাঁচদিন সময় লেগে যাচ্ছে। যখন আপনাদের হাতে সময় ছিল, তখন আপনারা পরীক্ষা ব্যবস্থা বাড়াননি। কেবল তাই-ই নয়, সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে শুধুমাত্র নমুনা পরীক্ষায় গাফিলতিই নয়, হাসপাতালের শয্যা, আইসিইউ বেড, অক্সিজেনের জোগান, সমস্ত ক্ষেত্রেই গাফিলতি রয়েছে।”
রবিবার গুজরাটে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪৬৯ জন। এটিই রাজ্যের দৈনিক আক্রান্তের সর্বোচ্চ সংখ্যা। পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা সংক্রমণের কারণে। এই নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৪৯৫ ও ৪৮০০-এ বেড়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিন স্পুটনিকে অনুমোদন কেন্দ্রের