Jignesh Mevani Rearrested: টানটান নাটক! জামিন পাওয়া মাত্র আবার গ্রেফতার জিগনেশ মেবাণী, কিন্তু কেন?
Gujarat MLA Arrested: ৪১ বছর বয়সী নির্দল বিধায়কের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত ও শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নে উস্কানির মতো একাধিক গুরুতর অভিযোগ ছিল।
গুয়াহাটি: এ যেন হিন্দি সিনেমার সাজানো চিত্রনাট্য! কোর্টের রায়ে জামিন পেয়েছেন বিধায়ক, জেল থেকে বেরোনো মাত্র তাঁকে আবার গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাক্রম শুনে হিন্দি সিনেমা নিখুঁত চিত্রনাট্য মনে হলেও, বাস্তবে এমনটাই হয়েছে। আজ অসমের আদালত থেকে জামিন পাওয়া মাত্রই গুজরাটের নির্দল বিধায়ক জিগনেশ মেবাণীকে (Jignesh Mevani) একটি পৃথক মামলায় আরও একবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Narendra Modi) নিয়ে বিতর্কিত টুইট করার জন্য নির্দল বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অসমের বরপেটা পুলিশ দ্বিতীয়বার বিধায়ককে গ্রেফতার করেছে। তবে কী কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, পুলিশের তরফে স্পষ্ট করে এখনও সেই বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। বৃহস্পতিবার গুজরাটের পালনপুর থেকে প্রথমবারে জন্য জিগনেশকে গ্রেফতার করে অসম পুলিশ। অসমের কোকরাঝড়ের স্থানীয় বিজেপি নেতার অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। নিজের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে নির্দল বিধায়ক বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রীর দফতরের মদতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই আমার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।” তবে আজ দ্বিতীয়বার গ্রেফতারির পর বিজেপি ও আরএসএসকে নিশানা করেন গুজরাটের নির্দল বিধায়ক। “বিজেপি এবং আরএসএস যৌথভাবে ষড়যন্ত্র করেছে। আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই এই কাজ করা হচ্ছে। তার প্রতিনিয়ত এই কাজ করেই যাচ্ছে। রোহিত ভেমুলার সঙ্গে এই কাজ করা হয়েছে, চন্দ্রশেখর আজাদের সঙ্গে এই কাজ করা হয়েছে, এবার আমাকে নিশানা করা হয়েছে।” বলেন জিগনেশ।
৪১ বছর বয়সী নির্দল বিধায়কের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত ও শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নে উস্কানির মতো একাধিক গুরুতর অভিযোগ ছিল। অসমের বিজেপি নেতা অরূপ কুমার দে অভিযোগে জানিয়েছিলেন, মেবাণীর টুইটে অনেকের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে ওই বিজেপি নেতা দাবি করেছেন, নির্দল বিধায়ক মানুষে মানুষে বিভাজনের চেষ্টা করছেন এবং প্রতি মুহূর্তে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ছোট করার চেষ্টা করছেন। মেবাণীর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কংগ্রেস বলেছে, অভিযোগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারি থেকে বোঝা যাচ্ছে আগামী গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই কাজ করা হচ্ছে।