AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Valsad beggar: দিনের পর দিন না খেতে পেয়ে মরলেন, অথচ পকেটে ছিল লক্ষাধিক টাকা

Valsad beggar dies: ভালসাদ পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার এক দোকানদার জরুরি পরিষেবা বিভাগে ফোন করে ওই ব্যক্তির কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ভালসাদের গান্ধী লাইব্রেরি এলাকায় রাস্তার পাশে ধারে গত কয়েকদিন ধরে ওই ব্যক্তি পড়ে আছেন। সম্ভবত, তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। কারণ, গত কয়েকদিনে তাঁকে ওই স্থান থেকে কোথাও যেতে দেখা যায়নি। একইভাবে পড়ে ছিলেন।

Valsad beggar: দিনের পর দিন না খেতে পেয়ে মরলেন, অথচ পকেটে ছিল লক্ষাধিক টাকা
প্রতীকী ছবি, ইনসেটে - পকেটে ছিল এই তাড়া তাড়া নোটImage Credit: Twitter
| Edited By: | Updated on: Dec 05, 2023 | 10:03 PM
Share

আহমেদাবাদ: সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনগুলির প্রচারে গিয়ে, একেরপর এক সভায় প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, দেশের একজনও মানুষ যাতে খালি পেটে না থাকেন, সেটা নিশ্চিত করাই তাঁর লক্ষ্য। কিন্তু, কার্যক্ষেত্রে তাঁর নিজ রাজ্যেই পকেটে লক্ষাধিক নগদ টাকা থাকা সত্ত্বেও, দিনের পর দিন না খেতে পেয়ে মরতে হল এক ব্যক্তিকে। মৃত ব্যক্তির পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি, বয়স ৫০ বছরের আশপাশে। স্থায়ীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে দিন কাটাতেন। দীর্ঘদিন ক্ষুধার্ত অবস্থায় ফুটপাথে পড়ে থাকার পর, রবিবার (৩ ডিসেম্বর), তাঁকে ভালসাদ সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেই সময় তাঁর পকেটে ১.১৪ লক্ষ নগদ টাকা ছিল। কিন্তু, হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই তাঁর মৃত্যু হয়। আর এই একটি মৃত্যু ভালসাদ পুলিশকে অনেক প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।

ভালসাদ পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার এক দোকানদার জরুরি পরিষেবা বিভাগে ফোন করে ওই ব্যক্তির কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ভালসাদের গান্ধী লাইব্রেরি এলাকায় রাস্তার পাশে ধারে গত কয়েকদিন ধরে ওই ব্যক্তি পড়ে আছেন। সম্ভবত, তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। কারণ, গত কয়েকদিনে তাঁকে ওই স্থান থেকে কোথাও যেতে দেখা যায়নি। একইভাবে পড়ে ছিলেন। এরপরই, দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেথিলেন জরুরী মেডিকেল টেকনিশিয়ান ভবেশ প্যাটেল। তাঁরা ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথাও বলেন। প্রাথমিক পরীক্ষার পর তাঁকে চিকিৎসার জন্য সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ভবেশ প্যাটেল জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি তাঁদের সঙ্গে গুজরাটি ভাষায় কথা বলছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়ি ভালসাদের ধোবি তালাও এলাকায়। আর যে দোকানদার জরুরি পরিষেবা বিভাগে ফোন করেছিলেন, তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে ওই ব্যক্তি কোনোরকম নড়াচড়া করেননি।

এরপর, ভবেশ প্যাটেল ওই ব্যক্তিকে সিভিল হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলন। ভবেশ জানিয়েছেন, সেই সময় তাঁর কাছে যাই, নগদ ১.১৪ লক্ষ টাকা ছিল। এর মধ্যে ৩৮টি ৫০০ টাকার নোট, ৮৩টি ২০০ টাকার নোট, ৫৩৭টি ১০০ টাকার নোট এবং আরও বেশ কিছু ২০ এবং ১০ টাকার নোট ছিল। নোটগুলি তাঁর সোয়েটারের পকেটে একটি ছোট প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়ানো ছিল। এছাড়া প্যান্টের পকেটে ছিল আরও কিছু টাকা। ওই অর্থ সিভিল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসারের সামনে ভালসাদ টাউন পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভবেশ।

ভালসাদ সিভিল হাসপাতালের ডা. কৃষ্ণা প্যাটেল বলেছেন, “যখন রোগীকে আমাদের কাছে আনা হয়েছিল, তখন তিনি চা চেয়েছিলেন। আমরা ভেবেছিলাম তিনি ক্ষুধার্ত। তাঁর রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গিয়েছে। তাই আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্যালাইন দিতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। সম্ভবত গত কয়েকদিন তিনি কিছুই খাননি।” ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও ক্ষুধাকেই মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এরপরই বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ভালসাদ শহরের পুলিশ ইনস্পেক্টর বিডি জিতিয়া বলেছেন, “আমরা তাঁর ছবি তুলেছি এবং তাঁর পরিচয় জানতে সেই ছবি-সহ পুলিশের বেশ কয়েকটি দলকে ধোবি তালাও এলাকায় পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউ তাঁকে চিনতে পারেননি। আমরা মৃত্যুর ঘটনা রেকর্ড করেছি। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলছে ক্ষুধার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। যে দোকানদারের এই বিষয়ে রিপোর্ট করেছিলেন, আমরা তাঁরাও বক্তব্য রেকর্ড করেছি।”

পুলিশের সামনে এখন বড় প্রশ্ন হল, পকেটে লক্ষাধিক টাকা থাকা সত্ত্বেও কেন ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে অভুক্ত ছিলেন? তাঁর জমা অর্থ নিয়েই বা কি করা হবে, সেই প্রশ্নেরও জবাব নেই পুলিশের কাছে। কোনও নিকতাত্মীয় পেলে, ওই অর্থ তাঁর হাতেই তুলে দেওয়া হতে পারে। তবে, এখনও পর্যন্ত ওই ব্যক্তিকে শনাক্তই করা যায়নি। কাজেই তাঁর পরিচয় জানাটাই এখন পুলিশের সামনে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।