High Court: পুরুষ বন্ধুদের সঙ্গে দিনের পর দিন স্ত্রী’র ‘ভালগার’ চ্যাট, স্বামীর পক্ষে কি মানা সম্ভব? বড় পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
High Court: ২০১৮ সালে বিয়ে হয় ওই দম্পতির। স্বামী আংশিক বধির। বিয়ের আগেই স্ত্রী জেনে গিয়েছিলেন সে কথা। স্বামীর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী তাঁর মায়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করেন, এমনকী দেড় মাস পর তিনি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যান।

মধ্যপ্রদেশ: বিয়ের পর থেকেই অশান্তি। দাম্পত্যে ছিল না কোনও শান্তি। পারিবারিক আদালত ইতিমধ্যে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের নির্দেশও দিয়েছে। সেই মামলা পৌঁছে যায় হাইকোর্টে। স্বামীর বিরুদ্ধে নিষ্ঠুর আচরণের অভিযোগ আনেন স্ত্রী। এমনকী পণ চাওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন স্ত্রী। কিন্তু স্ত্রীর কোনও যুক্তিই ধোপে টেকেনি। স্বামীর অভিযোগকেই মান্যতা দিল আদালত।
পারিবারিক আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়। সেখানে স্ত্রী অভিযোগ জানান যে তাঁর স্বামী তাঁর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করছেন এবং যৌতুক হিসেবে ২৫ লক্ষ টাকা দাবি করছেন। অন্যদিকে, স্বামীর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী তাঁর পুরুষ বন্ধুদের সঙ্গে দিনের পর দিন মোবাইলে অশ্লীল চ্যাট করেন। বারবার বলা সত্ত্বেও বদলায়নি সেই অভ্যাস! স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্কের বিষয়েও অন্য পুরুষের সঙ্গে চ্যাট করেন বলে অভিযোগ স্বামীর। বিচারপতি বিবেক রুশিয়া এবং গজেন্দ্র সিংয়ের বেঞ্চ এই রায় দেন।
ঘটনাটা ঠিক কী
২০১৮ সালে বিয়ে হয় ওই দম্পতির। স্বামী আংশিক বধির। বিয়ের আগেই স্ত্রী জেনে গিয়েছিলেন সে কথা। স্বামীর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী তাঁর মায়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করেন, এমনকী দেড় মাস পর তিনি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যান। স্বামীর অভিযোগ, বিয়ের পর স্ত্রী তাঁর পুরনো প্রেমিকের সঙ্গে মোবাইলে চ্যাট করতেন। হোয়াটসঅ্যাপে তাঁদের মধ্যে অশ্লীল কথোপকথন চলত বলেও অভিযোগ।
এদিকে, স্ত্রীর দাবি, চ্যাট করার যে অভিযোগ আনা হচ্ছে, তা ভুল। ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি আরও দাবি করেন যে তাঁর স্বামী তাঁর মোবাইল হ্যাক করে নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ তৈরি করার জন্য ওই সব মেসেজ পাঠিয়েছিলেন।
আদালতের পর্যবেক্ষণ
আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, বিয়ের পর কোনও স্ত্রী বা স্বামী তাদের বন্ধুদের সঙ্গে অশ্লীল কথাবার্তা বলতে পারবেন না। ডিভিশন বেঞ্চ আরও বলেছে, কোনও স্বামীই সহ্য করবে না যে তার স্ত্রী মোবাইলে এমন অশ্লীল চ্যাট করছে। বিয়ের পর, স্বামী-স্ত্রী তাদের মোবাইলে যে কোনও ব্যক্তির সঙ্গেই কথা বলতে পারে। সেই স্বাধীনতা থাকে। তবে তারা কী বিষয়ে কথা বলছে সে সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।
স্ত্রীর উদ্দেশে আদালত বলেছে, সভ্য হওয়া উচিত। আপনি যখন একজন মহিলা হয়ে একজন পুরুষের সঙ্গে কথা বলছেন অথবা যখন একজন পুরুষ হয়ে একজন মহিলার সঙ্গে কথা বলছেন, তখন আপনার কথোপকথন আরও সভ্য হওয়া উচিত, যাতে তোমার সঙ্গীর কোনও আপত্তি না থাকে। তা না হলে এই ধরণের চ্যাট অপর সঙ্গীর জন্য মানসিক নিষ্ঠুরতা হিসেবে বিবেচিত হবে।
উল্লেখ্য, হাইকোর্ট দেখেছে যে মহিলার বাবা নিজেই স্বীকার করেছেন যে তাঁর মেয়ের পুরুষ বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার অভ্যাস রয়েছে। তাই পারিবারিক আদালতের নির্দেশকেই মান্যতা দিয়েছে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। স্বামীর বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।





