AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘মনে হচ্ছে জেল থেকে ছাড়া পেলাম’, পাহাড়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন পর্যটকরা, ভয়ে কাঁটা প্রশাসন!

কুম্ভমেলার পর ফের একবার পুণ্যার্থীরা ভিড় জমাতেই বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তাও। হরিদ্বার সিটি পুলিশের এক আধিকারিক জানান, সাধারণ মানুষদের সচেতন করা হচ্ছে। হোটেল ও ধর্মশালাগুলির মালিকদের সঙ্গেও বৈঠক করা হয়েছে।

'মনে হচ্ছে জেল থেকে ছাড়া পেলাম', পাহাড়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন পর্যটকরা, ভয়ে কাঁটা প্রশাসন!
হর কি পৌরি ঘাটে ভিড়। ছবি:ANI
| Edited By: | Updated on: Jul 10, 2021 | 11:37 AM
Share

সিমলা: সংক্রমণের সূচক কিছুটা নিম্নমুখী হতেই পাহাড়ে ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকরা। সামাজিক দূরত্ব তো দূরের কথা, মুখে মাস্কটুকুও নেই কারোর। হাবভাব এমন যেন করোনা চিরতরেই বিদায় নিয়েছে। কেন্দ্রের সতর্কতার পর এ বার হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরও পর্যটকদের সাবধানতা অবলম্বন ও কোভিডবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিলেন।

পর্যটকদের ভিড় দেখে গতকালই ডঃ ভিকে পাল বলেন, “ভিড়ের মধ্যেই সংক্রমণের সম্ভাবনা সবথেকে বেশি, এখনও স্বাভাবিক হওয়ার সময় আসেনি। তাই দায়িত্বজ্ঞানহীন হলেই সমস্যা বাড়বে। ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে”। শুক্রবার প্রায় একই সুরে হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যে যে পরিমাণ পর্যটক আসছে, তা নিয়ে আমরা উদ্বেগে রয়েছি। পর্যটকদের অবশ্যই স্বাগত জানাচ্ছি কিন্তু একটাই অনুরোধ, দয়া করে করোনাবিধি মেনে চলুন। ”

তিনি বলেন, “আমাদের পর্যটন শিল্পকেও বাঁচাতে হবে। আমি সমস্ত জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছি। করোনা এখনও শেষ হয়নি। তাই হোটেলগুলিকেও স্বাস্থ্যবিধি ও নিয়মাবলি মেনে চলার নির্দোেশ দেওয়া হয়েছে।”

সিমলা, কুলু মানালির মতো একই চিত্র উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারেও। সেখানেও হর কি পৌরি ঘাটে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যাচ্ছে ফের একবার। পর্যটকদের প্রশ্ন করা হলে তাদের জবাব, “মনে হচ্ছে দুই বছর বাদে জেল থেকে বের হলাম। ভিড় রয়েছে, তবে আমরা করোনাকে ভয় পাই না। সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই আমরা গঙ্গাস্নান সেরে নিচ্ছি।”

কুম্ভমেলার পর ফের একবার পুণ্যার্থীরা ভিড় জমাতেই বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তাও। হরিদ্বার সিটি পুলিশের এক আধিকারিক জানান, সাধারণ মানুষদের সচেতন করা হচ্ছে। হোটেল ও ধর্মশালাগুলির মালিকদের সঙ্গেও বৈঠক করা হয়েছে। সবাই হর কি পৌরি ঘাটেই যেতে চাইছেন, তবে তাের অনুরোধ করা হচ্ছে জমায়েত এড়িয়ে যেতে।