AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সর্বানন্দ নয়, অসমের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হলেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

একইসঙ্গে অসমে বিজেপির বিধানসভা পরিষদের প্রধান হিসাবেও হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকেই নির্বাচিত করা হয়েছে।

সর্বানন্দ নয়, অসমের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হলেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা
ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: May 10, 2021 | 3:01 PM
Share

গুয়াহাটি: জল্পনার শেষ। অসমের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। শুক্রবারই দিল্লিতে তাঁকে ও সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালকে ডেকে পাঠানো হয়। এরপর আজও বিজেপির মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। সেখানেই হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়। একইসঙ্গে অসমে বিজেপির বিধানসভা পরিষদের প্রধান হিসাবেও হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকেই নির্বাচিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নরেন্দ্র সিং তোমার। আজ সকালেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন সর্বানন্দ সোনওয়াল।

২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হলেও বাকি রাজ্যগুলির মতো মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা স্থির করা যাচ্ছিল না অসমের ক্ষেত্রে।  প্রায় এক সপ্তাহ জল্পনা জিইয়ে রেখে শনিবার দিল্লিতে তলব করা হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, ও  বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ। সেখানে দুই নেতার সঙ্গে মুখোমুখি এবং আলাদাভাবেও আলাপচারিতা করা হয়।

আজ সকালেও বিজেপির মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। সেখানেই হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়। তড়িঘড়ি রাজ্যপাল জগদীশ মুখীর কাছে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা পদ জমা দেন বিগত পাঁচবছরের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল।

সূত্র অনুযায়ী, নির্বাচনের আগে থেকেই মুখ্য়মন্ত্রী পদ প্রার্থী হিসাবে এগিয়ে ছিলেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এই নিয়ে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালের সঙ্গে মন কষাকষি ছিল বলেও জানা যায়। অসমের সোনওয়াল-কাচারি জনগোষ্ঠীর ভোট ধরে রাখতে সর্বানন্দ সোনওয়াল বিজেপির কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করলেও বিগত দুই বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির দারুণ ফলের পিছনে ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতাই।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ১২৬টি আসনের মধ্যে বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ জোট পেয়েছে ৭৫টি আসন, অন্যদিকে কংগ্রেসের মহাজোট ৫০টি আসন পায়। ২০১৬ সালের নির্বাচনে বিজেপির ফল আরও ভাল ছিল, তারা মোট ৮৬টি আসন দখল করেছিল। দীর্ঘ কংগ্রেস রাজ থেকে বিজেপির এই উত্থানের পিছনে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার হাত ছিল বলেই মনে করা হয়।

রাজনৈতিক জীবন:

অল অসম স্টুডেন্ট ইউনিয়নের হাত ধরে রাজনৈতিক জীবন শুরু করলেও পরে কংগ্রেসে যোগ দেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।জালুকবাড়ি আসন থেকে ১৯৯৬ সালে প্রথমবার নির্বাচনে লড়লেও হেরে যান তিনি। কিন্তু ২০০২ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের হাত ধরেই মন্ত্রিসভায় প্রবেশ হয় হিমন্ত বিশ্ব শর্মার। এরপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

সবকিছু ঠিক চললেও গোল বাঁধে ২০১৪ সালে। মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে মত বিরোধের জেরেই পরের বছর, অর্থাৎ ২০১৫ সালে বিজেপিতে যোগ দেন হিমন্ত। ২০১৬ সালেই শর্মার কেরামতি টের পায় বিজেপি। ১৫ বছরের কংগ্রেস শাসনে ইতি টেনে শুরু হয় বিজেপির ডবল ইঞ্জিন যাত্রা। দলে যোগ দেওয়ার একবছরের মধ্যেই দলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসেন হিমন্ত বিস্ব শর্মা। মুখ্যমন্ত্রী পদে সর্বানন্দ সোনওয়াল থাকলেও উত্তর-পূর্ব ভারতের সমস্ত সমস্যার সমাধান খুঁজতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা হিমন্তের কাছেই ছুটতেন।

বিগত পাঁচ বছরে অর্থ, পুরসভা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রক একা হাতেই সামলেছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। অসমে করোনা নিয়ন্ত্রণে তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশংসা করেছেন সকলেই। হাসপাতাল সফর থেকে শুরু করে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ- জনসংযোগ ও কাজের মাধ্যমেই অসমের মানুষের মন জয় করে নেন হিমন্ত।

আরও পড়ুন: করোনা যেন বহুরূপী, মিউটেশনে আরও মারাত্মক ‘ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন’