করোনা যেন বহুরূপী, মিউটেশনে আরও মারাত্মক ‘ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন’
ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন, যার বৈজ্ঞানিক নাম বি.৬১৭ এখন নিজের রূপ বদলে বি.৬১৭.২ এর পরিণত হয়েছে। যা বিশ্বের একাধিক দেশে ছড়িয়েছে।
নয়া দিল্লি: এই রূপে রুখলে, অন্য রূপে হাজির। রূপবদলু করোনা (COVID) যেন লুকোচুরি খেলছে। প্রথম ঢেউয়ের পর বারবার নিজের রূপ বদলেছে মারণ ভাইরাস। ডিলিশন-মিউটেশনের মাধ্যমে নিজের স্পাইক প্রোটিনে পরিবর্তন এনে ক্রমশ মারণ ক্ষমতা বাড়িয়েছে কোভিড। তবে স্ট্রেন যদি বারবার এই ভাবে নিজের রূপ বদলায় তাহলে ভ্যাকসিনের কার্যকরিতায় প্রশ্ন উঠতে পারে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের একাংশের। ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন, যার বৈজ্ঞানিক নাম বি.৬১৭ এখন নিজের রূপ বদলে বি.৬১৭.২ এর পরিণত হয়েছে। যা বিশ্বের একাধিক দেশে ছড়িয়েছে।
প্রথমে বুঝতে হবে কী এই ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন?
‘ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন’ হল দুটি স্ট্রেনের মিশ্রণ। ই৪৮৪কিউ (E484Q) ও এল ৪২৪আর (L424R) এই দুই স্ট্রেন মিলে তৃতীয় স্ট্রেন তৈরি হয়েছে। যা আগের থেকে বেশি ক্ষতিকারক। এই নতুন স্ট্রেনের ফলেই করোনা সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরাও। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি আগেই জানিয়েছে জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের একাধিক নমুনা সংগ্রহ করে দেখা গিয়েছে, সেখানে ‘ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন’ প্রায় ৬১ শতাংশ। পঞ্জাবে ৬৯ শতাংশের বেশি করোনা সংক্রমণের জন্য দায়ী ব্রিটেনের স্ট্রেন। দিল্লিতেও হানা দিয়েছে এই বিলিতি স্ট্রেন। ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রিটেন তো দেশে ছিলই, পাশাপাশি এই ‘ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেনের’ বাড়বাড়ন্তের ফলে চিন্তায় স্বাস্থ্যমহল।
কোথায় মিউটেশন হয়েছে এই ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেনের?
মিউটেশনে নিজের রূপে ফের বদল এনেছে এই ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন। স্পাইক প্রোটিন থেকে একেবারে উবে গিয়েছে ই৪৮৪কিউ (E484Q)স্ট্রেন। যার ফলে দেখা যাচ্ছে নতুন স্ট্রেন বি.৬১৭.২। এটি ইতিমধ্যেই বিশ্বের ১৭টি দেশে ছড়িয়েছে। বাংলাদেশেও মিলেছে এই স্ট্রেন। ব্রিটেন ইতিমধ্যেই এই বি.৬১৭.২ স্ট্রেনকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ অর্থাৎ উদ্বেগের ভ্যারিয়েন্টের আখ্যা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘অক্টোবরেই আছড়ে পড়বে তৃতীয় ঢেউ’, এ বারও কি জাঁকজমকহীন দুর্গাপুজো?