মহিলার শারীরিক গড়ন নিয়ে মন্তব্যও যৌন হেনস্থা, বড় পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
Kerala High Court: কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি এ বদরুদ্দীনের বেঞ্চে মামলার শুনানি চলছিল। অভিযুক্তের আইনজীবী বলেন, "কোনও মহিলার শারীরিক গঠন নিয়ে প্রশংসা করলে, তা যৌন হেনস্থা হতে পারে না। তাঁর মক্কেল মহিলা সহকর্মীর শারীরিক গঠন নিয়েই প্রশংসা করেছিলেন।"
তিরুবনন্তপুরম: মহিলাদের শারীরিক গঠন নিয়ে মন্তব্য করাও যৌন হেনস্থার সমান। একটি হেনস্থার মামলায় এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ রাখল কেরল হাই কোর্ট। রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের এক কর্মীর মহিলা সহকর্মীকে নিয়ে করা মন্তব্য ও পাঠানো মেসেজ দেখে এই মন্তব্য করে আদালত। মহিলার শারীরিক গঠন নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য করলে, তা যৌন হেনস্থার অধীনে পড়বে এবং এ ক্ষেত্রে অভিযুক্তের শাস্তিও হতে পারে।
কেরল রাজ্য বিদ্যু বোর্ডের এক মহিলা কর্মী হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সহকর্মীর করা মন্তব্য নিয়ে। হেনস্থার অভিযোগ জানান তিনি। মহিলার অভিযোগ, ২০১৩ সাল থেকে ওই ব্যক্তি তাঁর সম্পর্কে নানা অশালীন মন্তব্য করে এসেছেন। ২০১৬-১৭ সাল থেকে তিনি অশালীন মেসেজ ও ভয়েস কল করতে শুরু করেন। কর্তৃপক্ষের কাছে, এমনকী, পুলিশেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তারপরও ওই ব্যক্তি থামেননি। শেষে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। এদিকে, অভিযুক্ত মামলা খারিজের আবেদন করেছিলেন।
কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি এ বদরুদ্দীনের বেঞ্চে মামলার শুনানি চলছিল। অভিযুক্তের আইনজীবী বলেন, “কোনও মহিলার শারীরিক গঠন নিয়ে প্রশংসা করলে, তা যৌন হেনস্থা হতে পারে না। তাঁর মক্কেল মহিলা সহকর্মীর শারীরিক গঠন নিয়েই প্রশংসা করেছিলেন।”
পাল্টা মামলাকারী ওই মহিলার আইনজীবী বলেন, “ওই ব্যক্তির করা মেসেজ সম্মান হানিকর এবং হেনস্থার উদ্দেশ্যেই মন্তব্য করা হয়েছে”। বিচারপতি দুই পক্ষের বয়ান শোনার পর মহিলার পক্ষেই রায় দেন। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার মামলা বহাল রাখার নির্দেশ দেন তিনি।