Amit Shah on Nitish Kumar: ২০২০-তে মুখ্যমন্ত্রী হতে চাননি নীতীশ কুমার! এবার ভোটে জিতলে কে বসবেন বিহারের গদিতে? উত্তর দিলেন শাহ

Bihar Assembly Election 2025: ভোটের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে, তখন বিহারে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, শাসক এনডিএ-তে "অল ইজ নট ওয়েল"। নীতীশ কুমারের জেডিইউ-র সঙ্গে বিজেপির সম্পর্কে চিড় ধরেছে। সত্যিই কি তাই? বিহারের নির্বাচনে এনডিএ জিতলে মুখ্যমন্ত্রী হবেন কে? নীতীশ কুমার নাকি অন্য কেউ?

Amit Shah on Nitish Kumar: ২০২০-তে মুখ্যমন্ত্রী হতে চাননি নীতীশ কুমার! এবার ভোটে জিতলে কে বসবেন বিহারের গদিতে? উত্তর দিলেন শাহ
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী আর হবেন না নীতীশ কুমার?Image Credit source: PTI

|

Oct 17, 2025 | 7:39 AM

নয়া দিল্লি: এক মাসও বাকি নেই, তারপরই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন (Bihar Assembly Election 2025)। ভোটের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে, তখন বিহারে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, শাসক এনডিএ-তে “অল ইজ নট ওয়েল”। নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) জেডিইউ-র সঙ্গে বিজেপির সম্পর্কে চিড় ধরেছে। সত্যিই কি তাই? বিহারের নির্বাচনে এনডিএ জিতলে মুখ্যমন্ত্রী হবেন কে? নীতীশ কুমার নাকি অন্য কেউ? সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

ইন্ডিয়া টুডে টিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিহারে জোট শরিকদের মধ্যে বিরোধের জল্পনা উড়িয়ে দেন অমিত শাহ। নীতীশ কুমারের নেতৃত্বেই বিহারে নির্বাচন লড়া হবে বলে জানান তিনি। তবে নির্বাচনে জিতলে মুখ্যমন্ত্রী কি ফের নীতীশ কুমারই হবেন- এই প্রশ্নের উত্তরে কিছুটা হলেও ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখলেন।

বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন যে ১৪ নভেম্বর নির্বাচনে জেতার পরই জোটসঙ্গীরা মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন বিহারের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন। তিনি বলেন, “নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী হবেন কি না, তার সিদ্ধান্ত আমি নেব না। এখন আমরা নীতীশ কুমারের নেতৃত্বেই লড়াই করছি। নির্বাচনের পর সকল জোটসঙ্গীরা একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেবে।”   

শাহ আরও জানান যে ২০২০ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর নীতীশ কুমার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জানিয়েছিলেন যে বিহারে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি থেকে হওয়া উচিত, কারণ তারা জেডিইউ-র থেকে বেশি আসনে জয়ী হয়েছে। কিন্তু বিজেপি জোটকে সম্মান জানিয়েছিল বরাবরের মতো। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “নীতীশ কুমার যে সম্মান অর্জন করেছেন এবং তার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই তাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল।”

তবে নীতীশ কুমারের আরেক নাম যে পাল্টিরাম! বারবার শিবির বদলান তিনি। এই নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন যে নীতীশ কুমার কংগ্রেসের সঙ্গে খুব জোর আড়াই বছর ছিলেন। তাঁর রাজনীতি জীবনের একটা বড় অংশ কংগ্রেসের বিরোধিতা করেই কেটেছে, সেই ১৯৭৪ সালের জেপি আন্দোলন থেকে শুরু করে, যা পরবর্তীতে গোটা দেশে আন্দোলন রূপে ছড়িয়ে পড়ে এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারি করতে বাধ্য হন।

নীতীশ কুমারের স্বাস্থ্য নিয়েও বিরোধীরা যে প্রশ্ন তুলেছিল, সেই সমস্ত কথা উড়িয়ে দিয়ে অমিত শাহ বলেন যে মুখোমুখি এবং ফোনে বহুবার নীতীশ কুমারের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে, তিনি কখনও এমন কিছু লক্ষ্য করেননি। উল্টে বিরোধী মহাগঠবন্ধনকেই আক্রমণ করেন শাহ। বলেন যে বিহারে যারা লালু প্রসাদ যাদবের শাসন দেখেছেন, যতই সময় কাটুক না কেন, তারা আর আরজেডির ক্ষমতায় ফিরুক, তা চান না।

কংগ্রেসকে আক্রমণ করে অমিত শাগ বলেন, “সবসময় অন্যদের ছোট করে, কংগ্রেস নিজেই আজ ছোট হয়ে গিয়েছে। ঔদ্ধত্যের কারণেই কংগ্রেস বাংলা থেকে বিহারে তাদের জমি হারিয়েছে।”