Physically harassed: ৭ মাস ধরে যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগ, অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লেও থামেনি নির্যাতন
Physically harassed: পুলিশ অফিসার বলেন, "অঙ্গনওয়াড়ির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করা যেত না। প্রায় প্রতিদিন রাত দশটায় আসত ওই সাতজন। যুবতীকে অঙ্গনওয়াড়ির ছাদে নিয়ে যেত। তারপর যৌন নির্যাতন করা হত। রাত ২টা পর্যন্ত চলত নির্যাতন। এমনকি, যুবতী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লেও যৌন নির্যাতন বন্ধ হয়নি।"
ভুবনেশ্বর: নৃশংস। ভয়ানক। ৭ মাস ধরে যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। গণধর্ষণের জেরে যুবতী গর্ভবতী হলেও যৌন নির্যাতন বন্ধ হয়নি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ দায়ের হতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে চার জনকে। ঘটনাটি ওড়িশার ঢেঙ্কানাল জেলার। অন্তঃসত্ত্বা যুবতীকে ওয়ান স্টপ সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
ঢেঙ্কালাল সদর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ দীপক কুমার লেঙ্কা জানিয়েছেন, ওই যুবতীর মায়ের মৃত্যুর আত্মীয় স্বজনরা তাঁদের জমি-বাড়ি দখল করে নেন বলে অভিযোগ। তারপর বছর বাইশের ওই যুবতী তাঁর বাবাকে নিয়ে একটি পরিত্যক্ত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে থাকতে শুরু করেন। তাঁর বাবার মানসিক সমস্যা রয়েছে। তিনি রোজ রাত ১০টার আগে ঘুমিয়ে পড়তেন। তারপরই ৭ যুবক ওই যুবতীকে যৌন নির্যাতন করত। ওই পুলিশ অফিসার বলেন, “অঙ্গনওয়াড়ির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করা যেত না। প্রায় প্রতিদিন রাত দশটায় আসত ওই সাতজন। যুবতীকে অঙ্গনওয়াড়ির ছাদে নিয়ে যেত। তারপর যৌন নির্যাতন করা হত। রাত ২টা পর্যন্ত চলত নির্যাতন। এমনকি, যুবতী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লেও যৌন নির্যাতন বন্ধ হয়নি।”
রবিবার মানবাধিকার কর্মী জয়ন্ত কুমার দাস যুবতীকে গণধর্ষণের বিষয় নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অভিযোগ জানান। অভিযোগের প্রতিলিপি পাঠান ঢেঙ্কালালের পুলিশকে। রবিবারই ৭ অভিযুক্তর মধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানো হয়েছে যুবতীর বাবাকে।
জয়ন্ত কুমার দাস বলেন, কয়েকজন অভিযুক্তের পরিবারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন যুবতী। কিন্তু তারা গুরুত্ব দেয়নি। উল্টে যুবতীর মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে অভিযোগ করে। এতে আরও সাহস পেয়ে যায় অভিযুক্তরা। তিনি বলেন, “পুলিশ যদিও ওই যুবতীকে ৬ সেপ্টেম্বর উদ্ধার করে ওয়ান স্টপ সেন্টারে পাঠায়। কিন্তু, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় আমি অভিযোগ জানানোর পর।”
জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি মহিলাদের সুরক্ষার বিষয় নিয়ে ডিজিপিকে পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করতে বলেন। পুলিশকে মহিলাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে বলেন। মহিলাদের সুরক্ষায় রাজ্য সরকার কোনওরকম ফাঁক রাখতে চান না বলে মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দেন। কোনও পুলিশ অফিসার দায়িত্বে অবহেলা করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সেই বার্তার পরই এই ঘটনাটি সামনে আসে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)