Supreme Court: সদ্যোজাত চুরি হলে বাতিল হয়ে যাবে হাসপাতালের লাইসেন্স, সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টান্তমূলক নির্দেশ
Supreme Court: রিপোর্ট বলছে, ভারতে প্রতি বছর প্রায় ২ হাজার শিশু পাচার হয়। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট বলছে, ২০২২ সালে এমন ২২৫০টি মামলা দায়ের হয়েছে। সবচেয়ে বেশি মামলা দায়ের হয়েছে তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র এবং বিহারে।

নয়াদিল্লি: হাসপাতাল থেকে হঠাৎ ‘গায়েব’ সদ্যোজাত। কে বা কারা নিয়ে পালাল সদ্যোজাতকে? এইসব মামলার ক্ষেত্রে প্রথমেই ওই হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করা উচিত। একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
শিশু পাচার মামলায় অভিযুক্তদের জামিনের বিরোধিতা করে একটি আবেদনের এদিন শুনানি হয় বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চে। শিশু পাচার মামলায় অভিযুক্তদের জামিন দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
জামিন মঞ্জুরের ক্ষেত্রে এলাহাবাদ হাইকোর্ট ‘উদাসীনতা’ দেখিয়েছে জানিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলে, “এইসব অভিযুক্তরা সমাজের জন্য বিপজ্জনক। জামিন মঞ্জুরের ক্ষেত্রে অন্তত হাইকোর্টের একটা শর্ত বেঁধে দেওয়া উচিত ছিল। প্রতি সপ্তাহে একবার থানায় হাজিরা দেওয়ার কথা বলা দরকার ছিল। সব অভিযুক্তকে এখন আর পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না।”
এই খবরটিও পড়ুন




উত্তর প্রদেশ সরকারও তেমনভাবে কোনও পদক্ষেপ করেনি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেন, এটা হতাশাজনক। প্রধান অভিযুক্ত পুত্রসন্তান আকাঙ্ক্ষা করেছিলেন। তা না হওয়ায় তিনি চার লাখ টাকা দিয়ে শিশুপুত্র কেনেন। তিনি জানতেন, এটা পাচার হওয়া শিশু। তারপরও তিনি টাকা দেন।
ওই মামলায় সব অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। আত্মসমর্পণের পর অভিযুক্তদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলে, “এক সপ্তাহের মধ্যে চার্জ গঠন করতে হবে। যেসব অভিযুক্ত পলাতক, তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করবে নিম্ন আদালত। দ্রুত শুনানি করতে হবে।”
শিশু পাচার রুখতে পদক্ষেপের জন্য একাধিক সুপারিশ করা হয়েছে। সেইসব সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। একইসঙ্গে দেশের সমস্ত হাইকোর্টকে দুই বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, “কোনও আদালতে কত শিশু পাচার মামলা পেন্ডিং রয়েছে, তার খতিয়ান বের করতে হবে। এতে কোনও শিথিলতা দেখানো চলবে না।”
হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি গেলে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেন বিচারপতি পারদিওয়ালা। তিনি বলেন, “কোনও হাসপাতাল থেকে কোনও সদ্যোজাত যদি পাচার হয়, তাহলে প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত ওই হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করা।”
রিপোর্ট বলছে, ভারতে প্রতি বছর প্রায় ২ হাজার শিশু পাচার হয়। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট বলছে, ২০২২ সালে এমন ২২৫০টি মামলা দায়ের হয়েছে। সবচেয়ে বেশি মামলা দায়ের হয়েছে তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র এবং বিহারে।





