
কলকাতা: প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ ড্রোন নিয়ে খবরদারি করতে এসেছিল পাকিস্তান। কিন্তু, ভারতীয় সেনার বিশ্বমানের ক্ষমতার কাছে কিছুই করে উঠতে পারেনি পাক সেনা। ইতিমধ্যেই আবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই ড্রোন নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। ভেঙে পড়া ড্রোনের কাটাছেড়া করে দেখা যাচ্ছে ড্রোনগুলির আসলেই তুরস্কের। এই ড্রোন পাঠিয়েই ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে পরখ করতে চেয়েছে ইসালামাবাদ। একইসঙ্গে গোয়েন্দা ইনপুট তোলার ক্ষেত্রেও কাজে লাগানো হয়ে থাকতে পারে। অ্য়াসিসগার্ড সোনগার নামে এই বিশেষ প্রযুক্তির ড্রোনই এখন জোরদার চর্চা। কিন্তু কীভাবে কাজ করে এই ড্রোন? কীভাবে পাতে আড়ি?
কী এই অ্যাসিসগার্ড সোনগার ড্রোন?
তথ্য বলছে এই ড্রোন তৈরি হয় মূলত তুরস্কে। অনেকেই মনে করছেন, এখানেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে তুরস্ক যোগ। তবে কী তুরস্কই এখন ভারী মাত্রায় সমর সাহায্য করছে পাকিস্তানকে? সেটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন। এদিকে এই বিশেষ ড্রোন ব্যবহার করে তুরস্কের সেনাও। স্বল্প উচ্চায় ঘাপটি মেরে ওড়ার ক্ষেত্রে এই ড্রোন বিশেষভাবে সক্ষম। এটি মূলত কোয়াডকপ্টার ড্রোন। অর্থাৎ যার ৪টি রাউটার থাকে।
ড্রোনটি কমব্যাট বা ফাইটার ড্রোন হিসাবেও কার্যকরী। সূত্রের খবর, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিতে তৈরি হয় সোনগার। এই সোনগার সাপ্লাই করে অ্যাসিসগার্ড। তাই এর পুরো নাম অ্যাসিসগার্ড সোনগার। স্বয়ংক্রিয় ও ম্যানুয়েল, দুই মোডেই এই ড্রোনকে চালানো সম্ভব। এই ড্রোন সারাক্ষণ টেলিমেট্রি ডেটা ও ছবি ট্রান্সমিট করতে পারে। অর্থাৎ গোয়েন্দাগিরিতে ভালই পারদর্শী। ২০১৯ সালে ইস্তানবুলে ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রি ফেয়ারে প্রথম এই অ্য়াসিসগার্ড সোনগার প্রকাশ্যে আসে।