COVID Antibody: ৪ থেকে ৬ মাস পরই কমছে অ্যান্টিবডির পরিমাণ, কতদিন সুরক্ষা দেবে করোনা টিকা?

Antibody drops After COVID Vaccination: দেহে অ্যান্টিবডির পরিমাণ কমলেই যে করোনা সংক্রমণ থেকে তিনি আর সুরক্ষিত নন বা টিকার কার্যকারিতা নেই, এই ধারণাও ভুল বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

COVID Antibody: ৪ থেকে ৬ মাস পরই কমছে অ্যান্টিবডির পরিমাণ, কতদিন সুরক্ষা দেবে করোনা টিকা?
ফের করোনা টিকার রফতানি শুরু করেছে ভারত (ফাইল চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 19, 2021 | 10:46 AM

নয়া দিল্লি: দেশে দ্রুতগতিতে চলছে টিকাকরণ কর্মসূচি (COVID Vaccination), বিভিন্ন টিকার কার্যকারিতার মাত্রা ভিন্ন হলেও মোটের উপর প্রতিটি টিকাই করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়। কিন্তু কতদিন? সম্প্রতি আইসিএমআর(ICMR)-র একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, টিকা নেওয়ার চার মাস পর থেকেই দেহে ধীরে ধীরে অ্য়ান্টিবডি(Antibody)-র পরিমাণ কমতে শুরু করেছে।

ভূবনেশ্বরে আইসিএমআরের যে মেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারে ৬১৪ জন সম্পূ্র্ণ টিকাপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর একটি পরীক্ষামূলক গবেষণা চালানো হয়, আর তাতেই দেখা যায়, চার মাস পর থেকেই দেহে করেোনার অ্যান্টিবডির সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। যে ৬১৪ জন স্বাস্থ্য়কর্মীর উপর গবেষণাটি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৩০৮ জনকে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ় এবং ৩০৬ জনকে কোভ্যাক্সিনের দুটি ডোজ় দেওয়া হয়।

৬১৪ জন স্বাস্থ্য়কর্মীর মধ্যে ৮১ জনের করোনা হয়, ২৫৭ জনের টিকা নেওয়ার আগেই করোনা সংক্রমণ হয়েছিল। দুটি ডোজ় নেওয়ার পরও করোনা সংক্রমিত হয়েছেন, এমন ৩৩ জনও ছিলেন। গবেষণায় দেখা যায়, যারা কোভ্যাক্সিন নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে দ্রুত অ্যান্টিবডির পরিমাণ কমছে, অন্যদিকে, কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ়ের ছয়মাস পর থেকে দেহে অ্যান্টিবডির পরিমাণ কমতে থাকছে ধীরে ধীরে।

গবেষণার লেখক ডঃ ভট্টাচার্য বলেন, “কোভ্য়াক্সিনের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, টিকা নেওয়ার দ্বিতীয় মাস থেকেই দেহে ধীরে ধীরে করোনার বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা অ্যান্টিবডির পরিমাণ কমতে থাকছে। কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে চারমাস পর থেকে ধীরে ধীরে অ্যান্টিবডির পরিমাণ কমতে থাকে।”

তবে দেহে অ্যান্টিবডির পরিমাণ কমলেই যে করোনা সংক্রমণ থেকে তিনি আর সুরক্ষিত নন বা টিকার কার্যকারিতা নেই, এই ধারণাও ভুল বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। দেহের টি সেল ও বি সেলও করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আইসিএমআরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী বছর এই গবেষণার সূত্র ধরেই আরও একটি গবেষণা চালানো হবে, তাতে গবেষণার ফলে বিশেষ কোনও পরিবর্তন এসেছে কিনা, তা জানা যাবে।