Divorce Case: স্ত্রী যদি শ্বশুরবাড়িতে না থাকতে চায় তাহলে কি স্বামী বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা করতে পারেন?
Divorce Case: বিয়ে ভেঙে গেলে না চাইতেও অনেক সময় স্ত্রী'কে খোরপোষ দিতে হয় স্বামীদের। কিন্তু যদি কোনও যুক্তি সঙ্গত কারণ ছাড়াই শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে চলে যান বউমা?

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে সমাজ। আগে বিয়ের পরে মহিলারা শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে থাকতো। এটাই ছিল সাধারণ নিয়ম। বর্তমানে সেই ধারায় অনেকটাই পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। অনেকেই বিয়ের পরে বাবা-মায়ের বাড়ি ছেড়ে নিজেদের, মতো করে আলাদা থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে আবার পারিবারিক কলহের কারণে বাড়ি ছাড়তে চান। এই কারণে অনেক সময়ে ভেঙে যায় অনেক সম্পর্কও।
বিয়ে ভেঙে গেলে না চাইতেও অনেক সময় স্ত্রী’কে খোরপোষ দিতে হয় স্বামীদের। কিন্তু যদি কোনও যুক্তি সঙ্গত কারণ ছাড়াই শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে চলে যান বউমা? তখন? তাহলেও কি বিবাহ-বিচ্ছেদ চাইতে পারবেন না আপনি? কী বলছে আইন?
১৯৫৫ সালের হিন্দু বিবাহ আইনের ধারা ১৩(১)(ib) অনুসারে, যদি স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে কেউ অপরকে যুক্তিসঙ্গত কারণ না জানিয়ে ছেড়ে চলে যান এবং কমপক্ষে দু’বছর ধরে একটানা অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে তা বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হতে পারে।
সুপ্রিম কোর্ট এবং বিভিন্ন হাইকোর্ট তাদের রায়ে এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা দিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, দিল্লি হাইকোর্ট একটি মামলার রায় দেওয়ার সময় তাঁদের পর্যবেক্ষণ জানায়। একজন স্ত্রী বারবার কোনও বৈধ কারণ ছাড়াই তার শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যান। আদালত এক্ষেত্রে বিবাহ-বিচ্ছেদের আবেদন গ্রহণ করে।
এলাহাবাদ হাইকোর্ট মামলার রায় দেওয়ার সময় স্পষ্ট জানায়, যদি কোনও স্ত্রী পর্যাপ্ত কারণ ছাড়া স্বামীর সঙ্গে থাকতে না চায়, তাহলে তিনি ভরণপোষণের অধিকারী হবেন না।
এইসব রায় থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, যদি স্ত্রী যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে থাকতে না চায় তাহলে স্বামী বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করতে পারেন।
তবে মনে রাখবেন, প্রতিটি মামলার তথ্য এবং পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে। তাই নির্দিষ্ট মামলার জন্য উপযুক্ত পরামর্শ পেতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আগে আইনজীবির পরামর্শ নিন। এই প্রতিবেদনটি কেবল মাত্র প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা।
