AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

IIT placement: আইআইটি-তে পড়েও জুটছে না চাকরি ৭০০০ পড়ুয়ার!

IIT placement: আইআইটিগুলি দেশের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মনে করা হয়, এখানকার শিক্ষার্থীদের পায়ে এসে লোটায় চাকরি। অথচ, এই বছর দেশের ২৩টি আইআইটির ৩৩ শতাংশ ছাত্রছাত্রীরই এখনও কোনও চাকরি জোটেনি।

IIT placement: আইআইটি-তে পড়েও জুটছে না চাকরি ৭০০০ পড়ুয়ার!
প্রতীকী ছবিImage Credit: TV9 Bangla
| Updated on: May 23, 2024 | 3:26 PM
Share

নয়া দিল্লি: দেশের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির কথা উঠলে, একেবারে শুরুতেই থাকে আইআইটিগুলির নাম। আইআইটি-তে একবার ঢুকতে পারলে, চাকরি পাওয়া নিয়ে আর চিন্তা থাকবে না। আইআইটির শিক্ষার্থীদের পায়ে এসে লোটায় চাকরি। সাধারণভাবে এমনটাই মনে করা হয়। অথচ, চলতি বছরে আইআইটি থেকে পাশ করেও বহু ছাত্র চাকরি পাচ্ছে না। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধীরজ সিং নামে আইআইটি কানপুরের এক প্রাক্তন ছাত্র, তথ্য জানার অধিকার আইনের অধীনে আইআইটিগুলির ছাত্রছাত্রীদের চাকরির পরিস্থিতিত সম্পর্কে তথ্য জানতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। জানা গিয়েছে, এই বছর দেশের ২৩টি আইআইটির প্রায় ৩৮ শতাংশ শিক্ষার্থীই এখনও পর্যন্ত কোনও চাকরি পায়নি।

ধীরজ সিং জানিয়েছেন, এই বছর ২৩টি আইআইটি-র ৭০০০-এরও বেশি শিক্ষার্থী এখনও ক্যাম্পাস সিলেকশনে চাকরি পাননি। দুই বছর আগে, ক্যাম্পাস সিলেকশনে চাকরি না পাওয়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩,৪০০। তবে, এই দুই বছরে ক্যাম্পাস সিলেকশনে বসা ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যাও ১.২ গুণ বেড়েছে। তবে, একই সময়ে চাকরি না পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে ২.৩ গুণ। এই অবস্থায় আইআইটি-দিল্লি, আইআইটি-বম্বের মতো বেশ কয়েকটি আইআইটি, তাদের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তারা যদি কোনোভাবে, বর্তমানে পাশ করা শিক্ষার্থীদের চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারে।

চলতি শিক্ষাবর্ষের জন্য আইআইটি-দিল্লিতে প্লেসমেন্ট সেশন প্রায় শেষ। কিন্তু, প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী এখনও কোনও চাকরি পায়নি। আইআইটি-বম্বের প্লেসমেন্ট সেশন জুনের শেষ পর্যন্ত চলবে। তবে এখনও, বর্তমান ব্যাচের ২৫০ জন কোনও চাকরি পাননি। সংখ্যাটা, প্লেসমেন্টে যতজন অংশ নিয়েছিলেন, তার প্রায় ১০ শতাংশ। এই অবস্থায় দুই আইআইটি-ই তাদের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তাদের সদ্য স্নাতক হওয়া শিক্ষার্থীদের চাকরির জন্য সহায়তা চেয়েছে।

প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছে, তারা যে সংস্থায় কাজ করছে, সেই সংস্থাতেই চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে হবে, এমনটা নয়। তাদের প্রতিষ্ঠানের বাইরেও যদি কোথাও চাকরির সুযোগ থাকে, তা তারা জানাতে পারে। বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের তারা অন্য কোনও সংস্থায় সুপারিশও করতে পারে। এমনকি কোনও সংস্থায় ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ থাকলেও জানাতে বলা হয়েছে।