নয়া দিল্লি: এত সহজে মিলবে না স্বস্তি। আরও কয়েকদিন দাবদাহেই পুড়তে হবে দেশবাসীকে। অন্তত আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস এমনই জানাচ্ছে। আগামী পাঁচদিন বৃ্ষ্টি তো দূরের কথা, বরং তাপপ্রবাহ বইবে দেশের একটি বড় অংশের উপর দিয়ে। পূর্ব, মধ্য ও উত্তর-পূর্ব ভারতেই সবথেকে বেশি তাপপ্রবাহ অনুভূত হবে। রাজধানী দিল্লির জন্য জারি করা হয়েছে হলুদ সতকর্তা। দেশের একাধিক জায়গায় ধূলিঝড়ের সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের বিজ্ঞানী আরকে জেনামানি সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, আগামী ২৯ এপ্রিল অবধি গরম কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। এই সময়ে উত্তর ভারতে ধূলিঝড় হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে মে মাসের শুরু থেকেই পারদ কিছুটা নামবে, নিম্নচাপের জেরে একাধিক জায়গায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। মূলত ধূলিঝড়ের কারণে তাপমাত্রার পারদে পতন হবে বলে জানান।
তিনি জানান, উত্তর-পশ্চিম ভারতে ১২২ বছরে সর্বাধিক গরম ছিল চলতি বছরের মার্চ মাসে। এর আগে সর্বাধিক গড় তাপমাত্রা থাকত ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০০৪ সালে সেই রেকর্ড পার হয়েছিল। তবে এবার উত্তর-পূর্ব ভারতের মতো উত্তর-পশ্চিম ভারতেও তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, “দিল্লিতে তাপপ্রবাহের জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ২৯ এপ্রিল উত্তর ভারতে ধূলিঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর জেরে ১ বা ২ মে থেকেই তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। পূর্ব ভারতেও ৩০ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ অনুভূত হবে না। তবে পঞ্জাব, হরিয়ানা-চণ্ডীগঢ়, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, বিদর্ভ, ছত্তীসগঢ়, বিহারের কিছু অংশে আগামী কয়েকদিন তাপপ্রবাহ জারি থাকবে।”
আগামী তিনদিন উত্তর-পূর্ব ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলেই সর্বাধিক তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি অবধি বাড়তে পারে। এরপরে তাপমাত্রা ফের ২ ডিগ্রি কমে যাবে বলে জানানো হয়েছে। তবে মে মাস থেকে স্বস্তি পেতে পারে পূর্ব ভারতের কয়েকটি রাজ্য। ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় অঞ্চল, ওড়িশার মধ্যবর্ত্তী অঞ্চল ও গুজরাটের উত্তর অংশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: Maharashtra Power Crisis: ২ দিনের কয়লাও মজুত নেই, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অন্ধকারে ডুবতে পারে এই রাজ্যে!