India’s Open Air Show: ভারতের ‘মন’ পেতে বেঙ্গালুরুর আকাশে খেল দেখাল রুশ সুখোই আর মার্কিন F-30 যুদ্ধবিমান!
India's Open Air Show: প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ভারত খুব তাড়াতাড়ি ১১৪টা অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান কিনতে গ্লোবাল টেন্ডার ডাকবে বলে আশাবাদী রাশিয়া এবং আমেরিকা। ডিলের অঙ্ক হতে পারে আড়াই লক্ষ কোটি টাকা। এই বিপুল বরাত বাগাতেই নিজেদের শক্তি দেখাতে বেঙ্গালুরুতে হাজির এফ-থার্টি ফাইভ এবং সুখোই ফিফটি সেভেন।

অ্যারো ইন্ডিয়া এয়ার শো-র প্রথমদিনেই আকাশে উড়ল দুই মহাশক্তিধরের অন্যতম সেরা দুই শক্তি। মার্কিন বায়ুসেনার এফ-থার্টি ফাইভ এবং রুশ বায়ুসেনার সুখোই-ফিফটি সেভেন যুদ্ধবিমান। গত সোমবার বেঙ্গালুরুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে প্রথম মহড়া শুরু করে সুখোই ফিফটি সেভেন। আধ ঘণ্টা পর আকাশে ওড়ে এফ-থার্টি ফাইভ। ডিসেম্বরে এফ-থার্টি ফাইভ নিয়ে ভারতে আসার কথা বলেছিল মার্কিন বায়ুসেনা। জানুয়ারির মাঝামাঝি হঠাত্ তারা জানায়, ইউএস এয়ার ফোর্স অ্যারো ইন্ডিয়ায় সামিল হবে। তবে, এফ-থার্টি ফাইভ আসবে না। তিনদিন আগে আচমকা মতবদল। সম্ভবত রাশিয়াকে আকাশ ছেড়ে দিতে চায়নি আমেরিকা। তাই এফ-থার্টি ফাইভ নিয়েই ভারতে নামেন ইউএস এয়ারফোর্সের পাইলটরা।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ভারত খুব তাড়াতাড়ি ১১৪টা অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান কিনতে গ্লোবাল টেন্ডার ডাকবে বলে আশাবাদী রাশিয়া এবং আমেরিকা। ডিলের অঙ্ক হতে পারে আড়াই লক্ষ কোটি টাকা। এই বিপুল বরাত বাগাতেই নিজেদের শক্তি দেখাতে বেঙ্গালুরুতে হাজির এফ-থার্টি ফাইভ এবং সুখোই ফিফটি সেভেন। ভারত যদি সত্যিই বিদেশ থেকে যুদ্ধবিমান কেনার টেন্ডার ডাকে, তা হলে দৌড়ে কে এগিয়ে থাকবে? রুশ সুখোই না আমেরিকার এফ-থার্টি ফাইভ? ভারত আমেরিকায় তৈরি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার করে বটে। কিন্তু আজ পর্যন্ত মার্কিন যুদ্ধবিমান কেনেনি। রাশিয়া তা জানে, আর তারা তাই প্রথম থেকেই সুখোই বিক্রির জন্য দরবার করে যাচ্ছে। এদিনও রুশ বায়ুসেনার দায়িত্বপ্রাপ্ত মিশন চিফ দাবি করলেন, সুখোই ফিফটি সেভেন, যে কোনও যুদ্ধবিমানের তুলনায় এগিয়ে। আমরা ভারতকে ১০০ শতাংশ টেকনোলজি ট্রান্সফার করতেও তৈরি। আগামী তিন বছরের মধ্যে ভারতেই সুখোই ফিফটি সেভেনের উত্পাদন শুরু হতে পারে। রুশ বায়ুসেনা কর্তার দাবি, ভারত দীর্ঘদিন ধরেই সুখোই সিরিজের বিমান ব্যবহার করছে। তাই সুখোইয়ের অত্যাধুনিক ভার্সনই ভারতের কাছে বেস্ট চয়েস হতে পারে।
টিভি নাইনের প্রতিনিধিরা বেঙ্গালুরুতে হাজির বায়ুসেনা কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। বেশিরভাগেরই বক্তব্য, এফ-থার্টি ফাইভ কার্যকারিতায় এগিয়ে, পরীক্ষিত এবং যে কোনও পরিস্থিতিতে আকাশ-যুদ্ধে উপযোগী। তবে, এফ-থার্টি ফাইভে অস্ত্রশস্ত্র যোগ করার কাজটা বেশ কঠিন ও জটিল। আর ওই অস্ত্রশস্ত্র ও মিসাইল ছাড়া এফ-থার্টি ফাইভ তেমন কোনও কেরামতি দেখাতে পারবে না। তাছাড়া এর দামও অনেক বেশি। তাই, সবমিলিয়ে ভারতের পক্ষে সুখোই ফিফটি সেভেনই হয়তো সুবিধাজনক হবে। তবে রুশ যুদ্ধবিমানেরও সবটা ইতিবাচক নয়। ইউক্রেন যুদ্ধে এর স্টেলথ প্রযুক্তি তেমন একটা কামাল করতে পারেনি। একইসঙ্গে বোমা ফেলা, মিসাইল হামলা, শক্রর বিমানকে ফাঁকি দেওয়া কিংবা মুখোমুখি সংঘর্ষ, রেডারকে এড়িয়ে হামলা – সবকিছু সমানতালে করার মতো দক্ষতাও সুখোই ফিফটি সেভেনের আছে কিনা সন্দেহ। প্রতিরক্ষামন্ত্রক তাহলে কোন যুদ্ধবিমান বেছে নেবে? রাফালের পরে আবার কবে যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত হতে পারে? মন্ত্রকের কর্তারা এসব প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, অ্যারো ইন্ডিয়া স্রেফ একটা ডিফেন্স এয়ার শো। এটা স্রেফ প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি তুলে ধরার একটা প্ল্যাটফর্ম।
