নয়া দিল্লি: করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ(Second Wave of COVID-19)-র আশঙ্কাই সত্যি হতে পারে দেশে। প্রতিদিনই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় নয়া রেকর্ড গড়ছে দেশ। বিগত পাঁচদিন ধরেই দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ হাজার ৯৫১ জন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৭ নভেম্বরের পর এই প্রথম দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ হাজারের গণ্ডি পার করল। একদিনেই প্রায় ৪৭ হাজার আক্রান্ত হওয়ায় দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১৬ লাখ ৪৬ হাজার ৮১-তে পৌঁছেছে। এরমধ্যে ১ কোটি ১১ লাখ মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
দৈনিক আক্রান্তের পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার সংক্রমণের কারণে ১৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় সেই সংখ্যাই ২১২-এ পৌঁছেছে। এই নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৭-এ।
আরও পড়ুন: মধ্যরাত থেকে শুরু এনকাউন্টার, উপত্যকায় খতম চার জঙ্গি
রাজ্যভিত্তিক সংক্রমণের তালিকায় শীর্ষে থাকা মহারাষ্ট্র (Maharashtra) ফের নতুন রেকর্ড গড়েছে। দেশের মোট সংক্রমণের ৬৫ শতাংশই এই রাজ্যে। গত ২৪ ঘণ্টায় সে রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৫৩৫ জন। কেবল বাণিজ্যনগরী মুম্বইতেই আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭৭৫ জন। এছাড়াও পঞ্জাবে (Punjab) একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬৪৪ জন, কেরলে (Kerala) আক্রান্ত হয়েছেন ১৮৭৫ জন। কর্নাটকে (Karnataka) একদিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ১৭১৫ জন। গুজরাট(Gujarat)-এও বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। সে রাজ্যে একদিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৮০ জন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, দেশের মোট সংক্রমণের ৮০ শতাংশই মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশ, কর্নাটক, গুজরাট ও পঞ্জাব থেকে হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজস্থানের জয়পুর, উদয়পুর, আজমের সহ আটটি শহরে নাইট কার্ফু জারি করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রেও নান্দেদে ১১ দিনের কার্ফু জারি হয়েছে। নাগপুরেও লকডাউনের মেয়াদ ৩১ মার্চ অবধি বাড়ানো হয়েছে। দিল্লিতেও সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের একটি বিশেষ বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শরদ পাওয়ার সরকারকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে: দেবেন্দ্র ফড়নবিশ