AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Indian Army: ‘চিকেনস নেক’-এ পড়েছে কুনজর, চিন-বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে শায়েস্তা করতে তলে তলেই বিরাট কাজ করে ফেলল সেনা

India-Bangladesh Border: সামরিক গোয়েন্দাদের কাছেও শিলিগুড়ির ঠিক ওপারে থাকা অর্থাৎ বাংলাদেশের সীমান্তের ওপারে থাকা মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলির শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে একাধিক তথ্য আসছে। সেই কারণে অত্যন্ত নীরবে এবং দৃঢ়ভাবে সীমান্তে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করছে ভারতীয় সেনা।

Indian Army: 'চিকেনস নেক'-এ পড়েছে কুনজর, চিন-বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে শায়েস্তা করতে তলে তলেই বিরাট কাজ করে ফেলল সেনা
ফাইল চিত্র।Image Credit: PTI
| Edited By: | Updated on: Nov 07, 2025 | 9:11 AM
Share

কলকাতা: শত্রুদের মোক্ষম জবাব। সীমান্তে নীরবে শক্তি প্রদর্শন করল ভারত। যে ‘চিকেনস নেক’ (Chicken’s Neck)-র দিকে অনেকদিন ধরে কুনজর, সেই অঞ্চলেই ভারতের তিনটি নতুন সামরিক ঘাঁটি তৈরি হয়ে গেল। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া, অসমের ধুবড়ি এবং বিহারের কিষানগঞ্জ- এই তিনটি জায়গায় নতুন ব্যাটেলিয়ান অফিস বা সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করা হল।

 সেনার ভাষায় এই ঘাঁটি গুলিকে বলা হয়, “গ্যারিসন” (Garrison)। এক একটি ঘাঁটিতে ৮০০ থেকে ৯০০ জন জওয়ান থাকবেন। এগুলি ইনফেন্ট্রি ব্যাটালিয়ন হিসাবে কাজ করবে। ফোর্ট উইলিয়াম সূত্রের খবর, ভারী যুদ্ধাস্ত্র সহ ওই ব্যাটেলিয়নকে বাংলাদেশ সীমান্তের ধারে কাছে রাখতেই এই গ্যারিসন তৈরি করা হয়েছে।

সেনা সূত্রে খবর, “চিকেন নেক করিডর” থেকে ধুবড়ির দূরত্ব ২২২ – ২৪০ কিলোমিটার, চোপড়ার দূরত্ব ৫২ কিলোমিটার, কিষাণগঞ্জের দূরত্ব ১৫২-১৮০ কিলোমিটার। আবার বাংলাদেশ সীমান্ত থেকেও এই ঘাঁটি গুলির গড় দূরত্ব খুব একটা বেশ নয়।

একদিকে চিনের কৌশলী সামরিক বিস্তার, অন্যদিকে বাংলাদেশের ভিতরে আইএসআই-এর কার্যকলাপ বৃদ্ধি- দুই বিষয়ই সবথেকে বেশি ভাবাচ্ছে সামরিক গোয়েন্দাদের। অনুপ্রবেশের পাশাপাশি অন্য বিপদের শঙ্কাও থেকে যাচ্ছে।আর সেখানেই  “চিকেন নেক করিডর” অংশটি যে ভারত বিরুদ্ধ বা শত্রু শক্তিগুলির অন্যতম পাখির চোখ, তা ইতিমধ্যেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে সামরিক বিশারদদের কাছে।

সামরিক গোয়েন্দাদের কাছেও শিলিগুড়ির ঠিক ওপারে থাকা অর্থাৎ বাংলাদেশের সীমান্তের ওপারে থাকা মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলির শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে একাধিক তথ্য আসছে। সেই কারণে অত্যন্ত নীরবে এবং দৃঢ়ভাবে সীমান্তে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করছে ভারতীয় সেনা।

ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই সেখানে থাকা ভারতীয় সেনার কাছে অস্ত্র, সাঁজোয়া গাড়ি পৌঁছেছে। পৌঁছে গিয়েছে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে শুরু করে অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র। এছাড়াও অত্যাধুনিক মোবাইল জ্যামিং সিস্টেমও মোতায়েন করা হচ্ছে এই ঘাঁটিগুলিতে।

এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তে এই তিনটি নয়া সামরিক ঘাঁটি স্থাপন সবথেকে বড় সিদ্ধান্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। এখানে ভারতীয় সেনার সবথেকে আধুনিক থেকে আধুনিকতম ট্যাঙ্ক ও যুদ্ধাস্ত্র থাকবে।