Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Honey Trap: যৌন-ফূর্তির লোভ দেখিয়ে ফাঁদ পাতছে পাকিস্তান! বড় পদক্ষেপ ভারতের

Indian Army: মধুচক্রের মাধ্যমে ফাঁদে ফেলে দেশের গোপন তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করে। আগেও এমন ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে সেনা ফাঁদে না পড়ে ধুলিসাৎ করেছে পাক ষড়যন্ত্র।

Honey Trap: যৌন-ফূর্তির লোভ দেখিয়ে ফাঁদ পাতছে পাকিস্তান! বড় পদক্ষেপ ভারতের
Follow Us:
| Updated on: Feb 18, 2025 | 10:50 PM

ভারতের আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলতে সব সময় সচেষ্ট পাকিস্তান। তার জন্য নানা ঘৃণ্য প্রচেষ্টাও চালাতে থাকে। কখনও অনুপ্রবেশের মাধ্যমে, কখনও চোরাচালানের মাধ্যমে, কখনও আবার মধুচক্রে মাধ্যমে চলে চক্রান্ত। পাকিস্তান ভারতীয় সৈন্যদের নানা রকম ভাবে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে। এমনকি মধুচক্রের মাধ্যমে ফাঁদে ফেলে দেশের গোপন তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করে। আগেও এমন ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে সেনা ফাঁদে না পড়ে ধুলিসাৎ করেছে পাক ষড়যন্ত্র।

এবার পাকিস্তানের সেই ষড়যন্ত্র বাঞ্চাল করে দিতেই নতুন সফটওয়্যার তৈরি করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। যার নাম MShield 2.0।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই বিশেষ সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে, যাতে সৈন্যদের অজান্তে দেশের বা তাঁর কোনও তথ্য ফাঁস না হয়ে যায়। কেবল সেনা সদস্যদের মোবাইলে থাকবে এই অ্যাপ্লিকেশন। এর মাধ্যমে কোনও সেনা আধিকারিক নিষিদ্ধ অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন কিনা বা নিষিদ্ধ কোনও কিছ দেখছে কি না তা অনায়াসে জানতে পারবে সেনা সদস্যরা।

এই MShield 2.0 এও বলে দেবে যে কোনও PIO কল এসেছে কিনা। প্রসঙ্গত, প্রায়শই হানি ট্র্যাপের জন্য এই ধরনের কল ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এক সেনা কর্মকর্তা জানান, এই অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার শুরুর পর, এখনও পর্যন্ত হানি ট্র্যাপের একটিও ঘটনা রিপোর্ট হয়নি। এই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটির বিশেষত্ব হল এটি শুধুমাত্র সেনা সদস্যরা ব্যবহার করতে পারেন। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি তৈরি করার মূল উদ্দেশ্যে হল কোনও সেনা কর্মী যাতে জানা বা অজানায় এই মধুচক্রের শিকার না হন।

ক্যাপ্টেন শিবানী তিওয়ারি জানান বর্তমানে এই অ্যাপ্লিকেশনটি সেনার রোমিও ফোর্সে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে লক্ষ্য এই অ্যাপ্লিকেশনটিকে সমগ্র সেনাতে অন্তর্ভুক্ত করা।

দেশে হানি ট্র্যাপের অনেক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। অনেক ক্ষেত্রেই, সেনা সদস্যরাও এর শিকার হয়ে থাকেন। সেনাবাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা-সম্পর্কিত বিভাগে কর্মরত কর্মচারী বা কর্মকর্তারাও এই ফাঁদে পড়েছেন।

প্রসঙ্গত, প্রায় ২ বছর আগে ২০২৩ সালের মে মাসে, মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (ATS) একটি মধুচক্র মামলায় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (DRDO) একজন বিজ্ঞানীকে গ্রেপ্তার করে। ২০২২ সালের নভেম্বরে, বিদেশ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত একজন চালকের গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়।