AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Cyclone Biparjoy: চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’, ফুঁসছে সাগর, দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারতীয় সেনা

Cyclone Biparjoy Preparedness: গুজরাটের ভূজ, জামনগর, গান্ধীধাম, ধারাংধারা, ভদোদরা ও গান্ধীনগরে দুর্গতদের সাহায্যের জন্য ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সেগুলিতে সেনার তরফে সবরকম প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে।

Cyclone Biparjoy: চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় 'বিপর্যয়', ফুঁসছে সাগর, দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারতীয় সেনা
ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের প্রস্তুতি সেনার
| Edited By: | Updated on: Jun 14, 2023 | 12:01 AM
Share

আহমেদাবাদ: আরব সাগরে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় (Cyclone Biparjoy)। আগামী ১৫ জুন গুজরাটের কচ্ছ ও পাকিস্তানের করাচির মধ্যবর্তী কোনও জায়গায় আছড়ে পড়তে পারে বিপর্যয়। ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফলের আগে সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। গুজরাটের ভূজ, জামনগর, গান্ধীধাম, ধারাংধারা, ভদোদরা ও গান্ধীনগরে দুর্গতদের সাহায্যের জন্য ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সেগুলিতে সেনার তরফে সবরকম প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। এর পাশাপাশি নালিয়া, দ্বারকা ও আম্রেলির মতো কিছু ফরওয়ার্ড লোকেশনেও প্রস্তুতি সেরে রাখা হচ্ছে।

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে একসঙ্গে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজের জন্য প্রস্তুত ভারতীয় সেনা। দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য যে যে সংস্থা কাজ করছে, তাদের সকলের মধ্যে যোগাযোগের জন্য একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা হচ্ছে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি জরুরি বৈঠকও হয়ে গিয়েছে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের নেতৃত্বে সেই প্রস্তুতি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সেনার প্রতিনিধিরাও। সেনার তরফে দুর্যোগের সময়ে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রতিবেশী রাজ্য রাজস্থান থেকেও প্রয়োজনীয় সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। ঝড়-বৃষ্টির সময়ে যাতে ন্যূনতম ক্ষয়ক্ষতি হয়, তা নিশ্চিত করতে তৎপর সেনা।

এদিকে মঙ্গলবার বিকেল থেকেই গুজরাটের আরাবল্লী জেলার বেশ কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গিয়েছে। গোটা গুজরাটে এখনও পর্যন্ত জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৮টি দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি দল রয়েছে কচ্ছে, দুটি জামনগরে, তিনটি করে টিম রাখা হয়েছে রাজকোট ও দ্বারকায়। এছাড়া পোরবন্দর, সোমনাথ, মোরবি, ভালসাদ ও জুনাগড়ে একটি করে টিম প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। দিউয়েও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর একটি টিম রাখা হয়েছে।

কচ্ছ-ভূজ (পশ্চিম)-এর পুলিশ সুপার করণরাজ ভাগেলা জানিয়েছেন, নীচু জায়গাগুলি থেকে এখনও পর্যন্ত ১১ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন ২২০টিরও বেশি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে।