AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Manipur: মণিপুরে জওয়ানকে অপহরণ করে হত্যা, ২৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার দেহ

Army jawan: ইম্ফল পশ্চিম জেলার বাসিন্দা সেপাই সেরতো থাংথাং কোম মণিপুরের লিইমাখোং সেনাক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি ছুটি নিয়ে বাড়িতে ছিলেন। সেখান থেকেই সকাল ১০টা নাগাদ তাঁকে অপহরণ করা হয়। সেপাই কোমের ১০ বছরের ছেলে ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী।

Manipur: মণিপুরে জওয়ানকে অপহরণ করে হত্যা, ২৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার দেহ
মণিপুরের জওয়ানকে অপহরণ করে হত্যা।
| Edited By: | Updated on: Sep 17, 2023 | 9:44 PM
Share

ইম্ফল: মণিপুরে (Manipur) নিখোঁজ জওয়ানের দেহ মিলল। রবিবার ইম্ফল পূর্ব (Imphal East) জেলার খুনিংথেক গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছে সেপাই সেরতো থাংথাং কোমের। ছুটিতে থাকাকালীন অবস্থায় বাড়ি থেকে তাঁকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে বলে মণিপুর ও নাগাল্যান্ড সরকারের প্রতিরক্ষা দফতরের তরফে যৌথ বিবৃতি দিয়ে খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে। ঘটনাটি ‘জঘন্য ও কাপুরুষোচিত’ বলে সেনাবাহিনীর তরফে মন্তব্য করা হয়েছে।

ইম্ফল পশ্চিম জেলার বাসিন্দা সেপাই সেরতো থাংথাং কোম মণিপুরের লিইমাখোং সেনাক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন। সেখান থেকেই সকাল ১০টা নাগাদ তাঁকে অপহরণ করা হয়। সেপাই কোমের ১০ বছরের ছেলে সেই ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী। সে জানিয়েছে, বাবা-ছেলে মিলে বারান্দায় ছিলেন। ৩ দুষ্কৃতী আচমকা বাড়ির ভিতরে ঢোকে এবং তার বাবার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জোর করে বের করে। তারপর তারা সেপাই কোমকে সাদা রঙের একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যায়।

এরপর এদিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ সোগোলমাং থানার অন্তর্গত খুনিংথেক গ্রাম থেকে সেপাই সেরতো থাংথাং কোমের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর ভাই ও শ্যালক দেহ শনাক্ত করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, মাথায় গুলি করে সেপাই কোমকে হত্যা করা হয়েছে। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও আসেনি বলে সেনা আধিকারিক জানান।

সেপাই সেরতো থাংথাং কোমের ছেলে ছাড়াও এক মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছেন। তাঁদের হাতে সেপাই কোমের দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মণিপুর ও নাগাল্যান্ড রাজ্য প্রতিরক্ষা দফতরের জনসংযোগ আধিকারিক। তিনি জানান, পরিবারের ইচ্ছা অনুসারেই জওয়ানের শেষকৃত্য করা হবে। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে নিহত জওয়ানের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে সেনাবাহিনী।

প্রসঙ্গত, গত মে মাস থেকে কুকি ও মেইতি উপজাতির সংঘর্ষে উত্তপ্ত ছিল মণিপুর। প্রায় চার মাস ধরে চলা এই সংঘর্ষে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অনেকে ঘরছাড়া হয়েছেন এবং বহু মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। যা নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল হয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকরের তৎপরতায় বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। এর মধ্যে জওয়ানকে অপহরণ করে খুনের ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ বাড়াল।