Power Demand: কয়লা সঙ্কটের মাঝেই দেশে বাড়ল বিদ্যুতের চাহিদা, ক্রমশ বাড়ছে ‘পাওয়ার কাট’
Coal Shortage:কয়লা উত্তোলনের পরিমাণ কমেছে এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা কয়লার দামও বেড়েছে। এই কারণেই বর্তমানে একাধিক রাজ্যেব কয়লা সঙ্কট দেখা দিয়েছে, যার জেরে বিদ্যুৎ পরিষেবাও ব্যহত হচ্ছে।
নয়া দিল্লি: কয়লার অভাবে একদিকে ব্যহত হচ্ছে বিদ্যুৎ পরিষেবা (Power Supply)। অন্যদিকে, বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা (Power Demand)। জানা গিয়েছে, চলতি মাসে অর্থাৎ অক্টোবরের শুরুতেই বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে অনেকটাই। আর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কয়লার অভাবে (Coal Shortage) নাজেহাল হতে হচ্ছে।
রয়টার্য়ের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, অক্টোবরের প্রথমার্ধে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে ৪.৯ শতাংশ। অন্যদিকে, চাহিদার তুলনায় জোগান কমেছে বেশ কিছুটা। ১.৪ শতাংশ কমেছে জোগান। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রশমিত হতে শুরু করেছে দেশে। তাই সবকিছু সচল হচ্ছে, বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। পাশাপাশি রয়েছে উৎসবের মরশুম। কয়লার জোগান কমায় সমস্যা তৈরি হয়েছে আরও বেশি।
যদিও কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে ৩.২ শতাংশ, ৩০ শতাংশ বেড়েছে সৌরবিদ্যুতের উৎপাদন। তথ্য বলছে, কয়লার সঙ্কট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যাতে যাতে উত্তর ভারতে, বিশেষত রাজস্থান বা গুজরাটের মতো রাজ্যে দিনে ১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি রয়েছে কয়লার ক্রমবর্ধমান দাম।
এই অবস্থায় সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, একাধিক রাজ্যের তরফে কোল ইন্ডিয়া(Coal India)-কে বকেয়া টাকা মেটানো হয়নি। বকেয়া টাকার পরিমাণটাও সামান্য় নয়, প্রায় ২০ হাজার কোটি !
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়লা মন্ত্রকের (Coal Ministry) তরফে রাজ্যগুলিকে জানুয়ারি মাস থেকেই কোল ইন্ডিয়ার কাছ থেকে মজুত কয়লা সংগ্রহ করার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু রাজ্যের তরফেই কোনও জবাব মেলেনি। সূত্রের দাবি, কেন্দ্রের তরফে বারংবার নির্দেশ দেওয়া হলেও রাজ্যগুলি একদিকে যেমন পর্যাপ্ত পরিমাণ কয়লা উত্তোলন করছে না, একইসঙ্গে কোল ইন্ডিয়ার কাছে তাদের জন্য় যে বরাদ্দ কয়লা মজুত করে রাখা রয়েছে, তাও সংগ্রহ করা হচ্ছে না। দিল্লি, পঞ্জাবের মতো রাজ্যে প্রধান কয়লা উৎপাদন প্ল্যান্টও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, এর ফলেই এই সঙ্কটময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।