নয়া দিল্লি: নিজেকেই ধর্মগুরু হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন, দীক্ষা দেওয়ার নামেই চলত কিশোরীদের উপর যৌন নির্যাতন। ১৮ বছর পার হলেই আর ঠাই মিলত না আশ্রমে। তবে যাওয়ার আগে জোর করে সাক্ষর করিয়ে নেওয়া হত একটি নথিতে। স্বঘোষিত ধর্মগুরু বীরেন্দ্র দেও দিক্ষিত(Virendra Deo Dixit)-র নামে এবার রেড কর্নার নোটিস জারি করল ইন্টারপোল (Interpol)।
২০১৭ সালের জুন মাসে দিল্লি পুলিশের দারস্থ হন দুই মহিলা। তাঁরাই জানান, উত্তর দিল্লির বিজয় বিহারের আধ্যাত্মিক বিশ্ববিদ্যালয়ে (Adhyatamik Vishwa Vidyalaya) কিশোরীদের উপর শারীরিক নির্যাতন করেন ধর্মগুরু বীরেন্দ্র দিক্ষিত(৭৯)। কিছু সময়ের মধ্যে দিল্লি পুলিশ আরও তিনটি অভিযোগ দায়ের করে। এরপরই ধর্মগুরুর খোঁজে নামে পুলিশ। গ্রেফতারির আঁচ পেয়েই গা ঢাকা দেন তিনি। সূত্র অনুযায়ী, নেপাল(Nepal)-এ কোথাও লুকিয়ে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধার চোখে জল, পাকিস্তান থেকে ফেরার ৫ বছর পর অবশেষে মাকে খুঁজে পেল গীতা
সিবিআই (CBI) তদন্তভার নিয়েই ধর্মগুরুর খোঁজে অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করে। বলা হয়, যদি “গডম্যান”(Godman)-র খোঁজ দেওয়া যায় বা কোথায় লুকিয়ে রয়েছেন, সেই বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয় তবে পাঁচ লক্ষ টাকা অর্থ পুরস্কার দেওয়া হবে। ২০১৮ সালেই তদন্তকারী সংস্থা লুকআউট নোটিসও জারি করে। সিবিআইয়ের পর এবার রেড কর্নার নোটিস (Red Corner Notice) জারি করল আনতর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টারপোলও।
গতবছরও ডিসেম্বর মাসে খবরের শিরোনামে উঠে আসে আধ্যাত্মিক বিশ্ববিদ্যালয়। একাধিক কিশোরীর অভিভাবকরা অভিযোগ জানান যে তাঁদের মেয়েদের উপর আশ্রমে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। এরপরি দিল্লির মহিলা কমিশনের সহযোগিতায় দিল্লি পুলিশ আশ্রম থেকে ৪০ জন মহিলাকে উদ্ধার করে। দেখা যায় যেখানে সূর্যালোকও পৌছয় না, এমন ছোট একটি ঘরে তাঁদের আটকে রাখা হত। ওই ঘর থেকে যাতে তাঁরা পালাতে না পারেন, সেই কারণে লোহার রড দিয়ে প্রবেশদ্বার আটকে রাখা হত।
আরও পড়ুন: Assam Assembly Election 2021: ‘জমি মাফিয়াদের গুরুত্ব বেশি’ বিজেপি ছেড়েই বিস্ফোরক বিধায়ক