সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধার চোখে জল, পাকিস্তান থেকে ফেরার ৫ বছর পর অবশেষে মাকে খুঁজে পেল গীতা

ছোটবেলাতেই ভুল করে সীমান্ত পার করে পাকিস্তানে (Pakistan) চলে গিয়েছিল মূক-বধির গীতা। দীর্ঘদিন করাচি(Karachi)-তে একটি হোমে থাকার পর ২০১৫ সালে তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ(Sushma Swaraj)-র তৎপরতায় দেশে ফিরিয়ে আনা হয় গীতাকে।

সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধার চোখে জল, পাকিস্তান থেকে ফেরার ৫ বছর পর অবশেষে মাকে খুঁজে পেল গীতা
ভারতে ফেরার পর তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে গীতা। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Mar 11, 2021 | 12:47 PM

মুম্বই: ছোটবেলাতেই ভুল করে সীমান্ত পার করে চলে গিয়েছিলেন পাকিস্তানে (Pakistan)। সেখানে দীর্ঘ ১৫ বছর কাটানোর পর ২০১৫ সালে তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ(Sushma Swaraj)-র তৎপরতায় দেশে ফিরে এসেছিলেন মূক-বধির গীতা। তবে অপেক্ষা শেষ হয়নি তখনও। আরও ছয় বছর বাদে অবশেষে নিজের পরিবারকে খুঁজে পেল বছর ২৯-র গীতা। ডিএনএ (DNA)পরীক্ষা না হলেও তাঁর পরিবারকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বলেই জানাল গীতার দেখভালকারী এনজিও (NGO) সংস্থা।

দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে পাকিস্তানে গীতার আটকে থাকার সংবাদ জানতে পেরেই তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনতে তৎপর হয়ে উঠেছিলেন। ২০১৫ সালের ২৬ অক্টোবর দেশে ফিরিয়ে আনা হয় গীতাকে। প্রাথমিকভাবে ইন্দোরের একটি অলাভজনক সমাজসেবী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে ইঙ্গিত ভাষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

পহল নামক ওই সংস্থাটিই জানায় দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে গীতার পরিবারকে খুঁজে বের করার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। ২০২০ সালের ২০ জুলাই তাকে অপর একটি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়। তারাই পারবনি থেকে গীতার মাকে খুঁজে বের করেন।

আরও পড়ুন: ‘জমি মাফিয়াদের গুরুত্ব বেশি’ বিজেপি ছেড়েই বিস্ফোরক বিধায়ক

সংস্থার দাবি, উত্তর প্রদেশ(Uttar Pradesh), বিহার(Bihar), তেলাঙ্গানা (Telangana) ও রাজস্থান(Rajasthan) থেকে একাধিক ব্যক্তি নিজেদের গীতার আত্মীয় হিসাবে দাবি করলেও গত বছরই মহারাষ্ট্র(Maharashtra)-র পারবনি জেলার জিন্টুর এলাকায় মীনা বাগমারে (৭১) নামক এক মহিলার খোঁজ পাওয়া যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, বহু বছর আগেই তাঁর মেয়ে রাধা (গীতা) হারিয়ে গিয়েছিল। মীনা জানিয়েছিলেন, তাঁর মেয়ের পেটে একটি পোড়া দাগ ছিল। গীতাকে পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাঁর পেটেও পোড়া দাগ রয়েছে। এরপরই একপ্রকার নিশ্চিত হওয়া যায় যে ওই মহিলাই গীতার মা।

দীর্ঘ ২০ বছর পর প্রথমবার মেয়েকে দেখতে পেয়েই বৃদ্ধা মায়ের গাল বেয়ে নেমে এসেছিল জল। মায়ের কথা বুঝতে না পারলেও ইঙ্গিতের মাধ্যমেই নিজের অনুভূতি প্রকাশের চেষ্টা করেন গীতা। বর্তমানে প্রায়দিনই তিনি মা ও সৎ বোনের সঙ্গে দেখা করেন গীতা, এমনটাই জানিয়েছেন ওই এনজিও সংস্থা।

পাকিস্তানের বাসিন্দা বিলকিস ইধি, যাঁর স্বামী বিখ্যাত ইধি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট চালান, তিনিও জানান, গীতা তাঁর পরিবারের সঙ্গে মিলিত হয়েছে বলেই জানিয়েছে। আমরা যখন তাঁকে খুঁজে পেয়েছিলাম তখন তাঁর বয়স মাত্র ১১-১২ বছর ছিল। একটি রেল স্টেশন থেকে আমরা ওকে খুঁজে পেয়েছিলাম ও করাচিতে একটি হোমে রেখেছিলাম।

আরও পড়ুন: সংসদে তুমুল হট্টগোল বিরোধীদের, মুলতুবি হল চলতি সপ্তাহের অধিবেশন