সংসদে তুমুল হট্টগোল বিরোধীদের, মুলতুবি হল চলতি সপ্তাহের অধিবেশন

৮ মার্চ দ্বিতীয় দফার বাজেট অধিবেশন (Budget Session) শুরু হতেই কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি কৃষক আন্দোলন(Farmers Protest)-র পাশাপাশি পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি(Petrol-Diesel Price Hike) নিয়ে আলোচনার দাবিতে সরব হন।

সংসদে তুমুল হট্টগোল বিরোধীদের, মুলতুবি হল চলতি সপ্তাহের অধিবেশন
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Mar 11, 2021 | 11:07 AM

নয়া দিল্লি: বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই পেট্রপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উত্তাল হয়েছিল সংসদের দুই কক্ষ। বুধবারও একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় চলতি সপ্তাহের জন্য মুলতুবি করে দেওয়া হল সংসদের দুই কক্ষেরই অধিবেশন। ১৫ মার্চ, সোমবার ফের বাজেট অধিবেশন (Budget Session) শুরু হবে।

বাজেট অধিবেশনের প্রথম দফায় সংসদ উত্তাল হয়েছিল কৃষি আইন (Farm laws) ও কৃষক আন্দোলন (Farmers Protest) নিয়ে। ৮ মার্চ দ্বিতীয় দফার অধিবেশন শুরু হতেই কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি কৃষক আন্দোলনের পাশাপাশি পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার দাবিতে সরব হন। বুধবার রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হতেই বিরোধী দলগুলি ফের পেট্রপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার দাবি করেন।

বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge) কৃষক আন্দোলন নিয়ে আলোচনার দাবি জানালে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, “বাজেট অধিবেশনের প্রথম দফাতেই এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় আলোচনা করা হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহেও কৃষিমন্ত্রক ও কৃষক কল্যাণে চারঘণ্টার আলোচনা সভা রয়েছে। সুতরাং নতুন করে কৃষক আন্দোলন নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই।”

আরও পড়ুন: মমতাকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, “ভারতের ইতিহাসে এর আগে পেট্রল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম কখনও এত বেশি হয়নি। ইউপিএ জমানাতেও বিশ্ব বাজারে যখন অশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে ১০৯ ডলার হয়েছিল, তখনও আমরা সাধারণ মানুষের মাখায় চিন্তা করেই পেট্রলের দাম ৭০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছিলাম।” মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, “এই সরকার কেবল বিজ্ঞাপন ও প্রচারেই ব্যস্ত। দেশের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষদের পেটে টান পড়ছে। কিন্তু সরকারের হুঁশ নেই। তাঁরা কেবল কিছু কর্পোরেট বন্ধুদের খুশি রাখতেই কাজ করছেন।”

কৃষক আন্দোলনের বিষয়ে সরব হন হরিয়ানার সাংসদ দীপেন্দ্র সিংহ হুডাও। তিনি বলেন, “বিগত ১০৫ দিন ধরে খোলা আকাশের নীচে বসে কৃষকরা আন্দোলন করছেন। এখনও অবধি প্রায় ৩০০ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সরকারের গলায় একটুও সহানুভূতি নেই। এঁনারা কি ভারতীয় নন?”

রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু বিরোধীদের আলোচনার দাবি খারিজ করে দিতেই একে একে বিরোধী দলগুলি সভা মুলতুবি করে দেওয়ার আবেদন জমা দেয়। তুমুল বিক্ষোভের মুখে স্থগিত করে দেওয়া হয় অধিবেশন।

বৃহস্পতিবার মহা শিবরাত্রি থাকায় এমনিতেই ছুটি সংসদ। এছাড়া শনি ও রবিবার সাধারণত অধিবেশন হয় না। মাঝে বাকি থাকল শুধু শুক্রবার। তবে রাজ্যসভা ও লোকসভার সদস্যদের আবেদনে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ও লোকসভার স্পিকার শুক্রবার, ১২ মার্চের অধিবেশন বাতিল করে দেন। শুক্রবার যেহেতু সরকারি কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় না, সেই কারণে সরাসরি সোমবার থেকেই ফের অধিবেশন শুরু হবে।

আরও পড়ুন: ‘পুলিশ কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে’, মমতার চোটে বিজেপির দিকেই আঙুল তেজস্বীর