AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফোনে আড়ি পেতেছে কেন্দ্র? মন্ত্রী বললেন, ‘এই রিপোর্ট মোটেই কাকতালীয় নয়’

আজ, লোকসভায় এই ইস্যুতে সরব হন বিরোধীরা। সাংসদদের জবাব দেন তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

ফোনে আড়ি পেতেছে কেন্দ্র? মন্ত্রী বললেন, 'এই রিপোর্ট মোটেই কাকতালীয় নয়'
লোকসভা্য় তথ্য ও প্রযুক্ত মন্ত্রী
| Edited By: | Updated on: Jul 19, 2021 | 5:24 PM
Share

নয়া দিল্লি: আজ শুরু হল লোকসভার বাদল অধিবেশন। আর অধিবেশনের শুরুর দিনই উত্তাল হল সংসদ কক্ষ। একাধিক ইস্যুতে সরব হলেন বিরোধী। আর এই অধিবেশন শুরুর ঠিক আগের দিনই সামনে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট। যেখানে বলা হয়েছে, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা-সহ অনেকের ফোনেই আড়ি পেতেছে কেন্দ্র। তাই আজ লোকসভায় এটাই ছিল সবথেকে টাটকা ইস্যু। আর সেই ইস্যুতে জবাব দিলেন তথ্য প্রযুক্ত মন্ত্রী। এই অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা আর এই অভিযোগের মাধ্যমে ভারতের গণতন্দ্রকে নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে বলে উল্লেখ করলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।আর অধিবেশনের ঠিক আগেই সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশ হওয়ার বিষয়টা কাকতালীয় নয় বলেই উল্লেখ করেছেন তিনি।

ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাসের মাধ্যমে কেন্দ্র আড়ি পাতছিল বলে অভিযোগ। সম্প্রতি কিছু সংবাদমাধ্যমে এই তথ্য প্রকাশি হয়। আজ সোমবার সংসদে সেই প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘বাদল অধিবেশনের ঠিক আগের দিনই এই রিপোর্ট প্রকাশ পাওয়ার বিষয়টি মোটেই কাকতালীয় নয়।’ অর্থাৎ এই অভিযোগে কার্যত ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন তিনি। মন্ত্রী এ দিন আরও মনে করিয়ে দেন যে এর আগে  হোয়াটসঅ্যাপের ক্ষেত্রেও নজরদারি অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে সব পক্ষই  সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল। এমনকি সুপ্রিম কোর্টও এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দেন বলে অভিযোগ।

এই অভিযোগ পিছনে কোনও সঠিক ভিত্তি নেই বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর অভিযোগ। একের পর এক ভয়ঙ্কর অভিযোগ রয়েছে এতে। কিন্তু এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই।’

উল্লেখ্য,  ‘দ্য ওয়ার’ এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে বলা হয়, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, সরকারি আমলা, বিজ্ঞানী-সহ দেশের প্রায় ৩০০ নাগরিকের টেলিফোন নম্বরে আড়ি পাতছে কেন্দ্র। ৪০ জন সাংবাদিকও রয়েছেন তালিকায়। রয়েছেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ফোন নম্বরও। প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশির ভাগ ফোনই ট্যাপ করা হয়েছে ২০১৮-১৯ সালের মধ্যে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট পর্যন্ত এই ফোনে আড়ি পাতা চলছিল। ভারত ছাড়া আরও ৯টি দেশে আড়ি পাতা হয় বলে প্রকাশিত হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। আর তা নিয়েই সরব বিরোধীরা। আরও পড়ুন: গোমূত্র নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করাতেই রাষ্ট্রদোহিতার মামলা, আজই মুক্ত করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

COVID third Wave