Jagdeep Dhankhar: রাজ্যসভার ১২ বিরোধী সাংসদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ ধনখড়ের

Jagdeep Dhankhar asks to probe 12 opposition MPs: ১২ জন বিরোধী সাংসদের বিরুদ্ধে বিশেষাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়।

Jagdeep Dhankhar: রাজ্যসভার ১২ বিরোধী সাংসদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ ধনখড়ের
সংসদে জগদীপ ধনখড়। ছবি সৌজন্য: টুইটার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 20, 2023 | 9:21 PM

নয়া দিল্লি:

১২ জন বিরোধী সাংসদের বিরুদ্ধে স্বাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। এই ১২ জন সাংসদ বারংবার হাউসের ওয়েলে প্রবেশ করে স্লোগান দিয়েছেন এবং রাজ্যসভার কার্যক্রমে বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই প্রেক্ষিতে সংসদের বিশেষাধিকার কমিটিকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন ধনখড়। রাজ্যসভার বুলেটিন অনুসারে এই ১২ জন সাংসদের মধ্যে নয়জন কংগ্রেসের সাংসদ এবং বাকি তিনজন আম আদমি পার্টির সাংসদ। যে কংগ্রেস সাংসদদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশষ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন – শক্তিসিং গোহিল, নারানভাই জে রথওয়া, সৈয়দ নাসির হুসেন, কুমার কেতকর, ইমরান প্রতাপগড়ী, এল হনুমন্থাইয়া, ফুলো দেবী নেতাম, জেবি মাথের হিশাম এবং রঞ্জিত রঞ্জন। আর তিনজন আপ সাংসদ হলেন – সঞ্জয় সিং, সুশীল কুমার গুপ্তা এবং সন্দীপ কুমার পাঠক।

১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখের বুলেটিনে, রাজ্যসভা সচিবালয় থেকে বলা হয়েছে, “সাংসদদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণের ফলে উদ্ভূত স্বাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান অধিকার লঙ্ঘনের একটি প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। রাজ্যসভার নিয়ম ও শিষ্টাচার ভেঙে তারা কাউন্সিলের ওয়েলে প্রবেশ করে, স্লোগান দিয়ে এবং ক্রমাগত ও ইচ্ছাকৃতভাবে কাউন্সিলের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে, চেয়ারকে তারা বারংবার কাউন্সিলের সভা স্থগিত করতে বাধ্য করেছেন।” উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতেই সংসদের বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে।

প্রথম পর্বে বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধী সাংসদদের বিক্ষোভের কারণে রাজ্যসভার কার্যক্রম বারংবার বাধা পেয়েছে। বিশেষ করে আদানি-হিন্ডেনবার্গ ইস্যু নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির গঠন করে তদন্ত করা এবং কংগ্রেস সাংসদ রজনী পাতিলকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে সংসদের দুই কক্ষই উত্তাল হয়েছিল। বিশেষাধিকার কমিটির সামনে এই ১২ জন সাংসদের স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হলে, বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের জন্য বরখাস্তও হতে পারেন এই সাংসদরা। ১৩ মার্চ থেকে সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হওয়ার কথা।