CID: দিল্লি-অসমে পুলিশি বাধার মুখে বাংলার সিআইডি, লোকসভার কক্ষত্যাগ করলেন তৃণমূল সাংসদরা

TMC walkout: লক্ষ লক্ষ টাকা-সহ ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের আটক হওয়ার মামলার তদন্তে দিল্লি ও অসমে গিয়ে বাধা পেল পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি। এদিন, এই অভিযোগকে সামনে রেখেই লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করল তৃণমূল কংগ্রেস।

CID: দিল্লি-অসমে পুলিশি বাধার মুখে বাংলার সিআইডি, লোকসভার কক্ষত্যাগ করলেন তৃণমূল সাংসদরা
রাজধানীর পথে আটকানো হল সিআইডির গাড়ি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 03, 2022 | 6:05 PM

নয়া দিল্লি: বুধবার (৩ অগস্ট) নয়া দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি কর্তাদের কাজে বাধা দিয়েছে দিল্লি পুলিশ, এমনই অভিযোগ উঠেছে। এদিন, এই অভিযোগকে সামনে রেখেই লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন লোকসভায় কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধনী) বিল পেশ করা হয়। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় চেয়ারকে উদ্দেশ করে বলেন তিনি এই বিলের বিষয়েই আলোচনা করবেন ভেবে এসেছিলেন। কিন্তু, দিল্লি পুলিশকে ব্যবহার করে যেভাবে বাংলার পুলিশকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না, তার প্রতিবাদ করে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা লোকসভার কক্ষত্যাগ করছেন। এরপরই, সৌগত রায়ের নেতৃত্বে লোকসভা ছেড়ে বেরিয়ে যান তৃণমূল সাংসদরা।

সৌগত রায় বলেন, “স্যার আমি এখানে এসেছিলাম কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধনী) বিলের বিষয় আলোচনা করব বলে। তবে, এখানে এসে জানতে পারলাম পশ্চিমবঙ্গের পুলিশকে কাজ করতে বাধা দিচ্ছে দিল্লি পুলিশ। ঝাড়খণ্ডের যে বিধায়করা বিজেপির কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, তাদের রেইড করতে দিচ্ছে না দিল্লি পুলিশ। তাই আমরা কক্ষ ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

এর আগে, হাওড়ায় লক্ষ লক্ষ টাকা-সহ ধরা পড়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের তিনজন বিধায়ক। তাদের সঙ্গে সঙ্গে বরখাস্তও করেছে কংগ্রেস। অভিযোগ উঠেছে, ঝাড়খণ্ডের ইউপিএ সরকারকে ফেলে দেওয়ার লক্ষ্যেই ওই বিধায়কদের অর্থ দিয়েছিল বিজেপি। এদিন সেই মামলার তদন্তের জন্যই জাতীয় রাজধানীতে গিয়েছিল সিআইডির কর্তারা। কিন্তু, দিল্লি পুলিশ তাদের আটকে রাখে বলে অভিযোগ। সিআইডির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “তদন্ত চলাকালীন, সিআইডির একটি দল আদালতের জারি করা একটি অনুসন্ধান পরোয়ানা নিয়ে দিল্লিতে গিয়েছিল। ডিসিপি দক্ষিণ পশ্চিমের নির্দেশে তাদের আইনানুগ দায়িত্ব পালন থেকে বিরত করা হয়েছে।” এই প্রেক্ষিতে সিআইডি, দিল্লির পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরার হস্তক্ষেপ চেয়েছে।

তবে দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে বেসরকারিভাবে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ‘দ্য প্রিন্ট’-এর প্রতিবেদনে দিল্লি পুলিশের এক কর্তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, “আমরা কাউকে বাধা দিইনি। মামলার তদন্তকারী কর্তা উপস্থিত নেই। আমরা অনুসন্ধান পরোয়ানা যাচাই করছি।” তিনি আরও জানিয়েছেন, নিজ রাজ্যের বাইরে তল্লাশি চালাতে গেলে স্থানীয় পুলিশের সহায়তা লাগে। তার জন্য সংশ্লিষ্ট স্টেশন হাউস অফিসারকে অবহিত করতে হয়। হাই-প্রোফাইল বা সংবেদনশীল মামলা হলে, তদন্তকারী রাজ্যের ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশকে অন্য রাজ্যের ডিসিপিকে জানাতে হয়। যদি অপ্রত্যাশিত কোনও কারণে তদন্তকরী অফিসার না থাকেন, তবে তা আগে থেকে লিখিতভাবে জানাতে হয়। এই ক্ষেত্রে তা করা হয়নি।

তবে শুধু দিল্লিতেই নয়, অসমের গুয়াহাটিতেও বাংলার সিআইডি অফিসারদের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গুয়াহাটি বিমানবন্দরে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করতে গিয়েছিল তারা। কিন্তু, অসম পুলিশ সেখান থেকে সিআইডি কর্তাদের আটক করেছে এবং নিকটবর্তী পুলিশ স্টেশনে নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।