Jharkhand: ৭ বছরে বাচ্চা হয়নি, এবার রাঁচির মহিলার কোল আলো করে একসঙ্গে এল পাঁচ ‘লক্ষ্মী’

Jharkhand woman: বিয়ের পর সাত বছর কেটে গেলেও বাচ্চা হচ্ছিল না। এবার একসঙ্গে পাঁচ 'লক্ষ্মী'র জন্ম দিলেন ঝাড়খণ্ডের মহিলা।

Jharkhand: ৭ বছরে বাচ্চা হয়নি, এবার রাঁচির মহিলার কোল আলো করে একসঙ্গে এল পাঁচ 'লক্ষ্মী'
ঝাড়খণ্ডের মহিলার কোলে এল একসঙ্গে পাঁচ লক্ষ্মী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 23, 2023 | 11:04 PM

রাঁচি: একসঙ্গে দুই অথবা তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন মা, এই রকম ঘটনা বিরল হলেও শোনা যায়। তবে, বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনার সাক্ষী হল ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স বা রিমস হাসপাতাল। সোমবার (২২ মে) এই হাসপাতালে এক মহিলা একসঙ্গে পাঁচ-পাঁচটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন! এই বিরলগর্ভা মায়ের নাম অঙ্কিতা, তিনি চাতরা জেলার ইটখোরি এলাকার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, গর্ভধারণের সাত মাসের মধ্যেই তিনি ওই পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। পাঁচ সন্তানই মেয়ে। গর্ভাবস্থা সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম হওয়ায় শিশুগুলির ওজন স্বাভাবিকের থেকে কম হয়েছে। বর্তমানে নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে তাদের চিকিৎসকদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

রিমস হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে ওই পাঁচ নবজাতকের ছবি টুইট করা হয়েছে। সঙ্গের ক্।যাপশনে লেখা হয়েছে, “চাতরার ইটখোরি এলাকার এক মহিলা রিমসের মহিলা ও শিশু প্রসব বিভাগে একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। ওই শিশুদের এনআইসিইউতে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। ডাঃ শশিবালার তত্ত্বাবধানে অঙ্কিতার স্বাভাবিক প্রসব হয়।” ডা. শশিবালা জানিয়েছেন, আল্ট্রাসাউন্ডে অঙ্কিতার গর্ভে পাঁচটি ভ্রুণ ধরা পড়েছিল। ওই চিকিৎসক আরও বলেছেন, “একসঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম দেওয়াটা ঝুঁকির। কিন্তু অঙ্কিতা তারপরও সন্তান প্রসবের রাজি ছিলেন। এটা আমাদের জন্যও একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু অপারেশন সফল হয়েছে এবং সবকটি শিশু ও তাদের মা সুস্থ আছেন। শিশুগুলির ওজন এখনও কিছুটা কম। তাই তাদের এআইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। তবে আশঙ্কার কোনও কারণ নেই।”

ডা. শশিবালার মতে, ঝাড়খণ্ড এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহারেও সম্ভবত এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম ঘটস। অঙ্কিতা জানিয়েছেন, একসঙ্গে পাঁচ মেয়ের জন্ম দিতে পেরে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত। তাঁদের বাড়িতে একজন নয় একসঙ্গে পাঁচ ‘লক্ষ্মীর’ আবির্ভাব ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, ৭ বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু অনেক চেষ্টার পরও তিনি গর্ভধারণ করতে পারেননি। এবার যখন হল, তখন তাঁর কোল পূর্ণ করে দিয়েছেন ঈশ্বর। তবে, ইতিমধ্যেই পাঁচ মেয়েকে কীভাবে বড় করবেন, তা ভেবে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে অঙ্কিতার। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের আর্থির অবস্থা ভাল নয়। তাঁর স্বামী একজন ফল বিক্রেতা। পাঁচ মেয়েকে বড় করতে এবং তাদের সঠিক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে সাধারণ মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন তিনি।