৯৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন, এদিকে এক অক্ষরও লিখতে-পড়তে জানেন না! কীভাবে বাগালেন সরকারি চাকরি?
Peon: ফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, সপ্তম শ্রেণির পর সরাসরি দশম শ্রেণির পরীক্ষায় বসেছিলেন ওই যুবক। সেই পরীক্ষায় তিনি ৬২৫-র মধ্য়ে ৬২৩ নম্বর পান। এদিকে, ওই যুবককে ডেকে পড়তে ও লিখতে বলা হলে, দেখা যায়, কন্নড়, ইংরেজি বা হিন্দি- কোনও ভাষাই পড়়তে বা লিখতে পারেন না তিনি।

বেঙ্গালুরু: দশম শ্রেণির পরীক্ষায় নাকি পেয়েছেন ৯৯.৭ শতাংশ! দুর্দান্ত রেজাল্ট দেখিয়ে পেয়েছেন সরকারি চাকরিও। এদিকে, নিজের নাম পর্যন্তও লিখতে পারেন না।! লেখা তো দূর, এক অক্ষর পড়তেও পারেন না লক্ষ্মীকান্ত। এক বিচারকই হাতেনাতে ধরলেন জালিয়াতি। দুর্নীতি ও বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ তুললেন।
ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের কোপ্পালে। প্রভু লক্ষ্মীকান্ত লোকারে নামক বছর তেইশের ওই যুবক দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ৯৯.৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। এরপর গত এপ্রিল মাসে তিনি কর্নাটকের একটি আদালতে পিওনের চাকরি পান। কিন্তু এক বিচারক লক্ষ্য করেন যে ওই যুবকের লিখতে-পড়তে সমস্যা হয়। এরপর তিনি যুবককে ডাকেন। জানতে পারেন, ওই যুবক লিখতে বা পড়তে-কোনওটাই পারে না। এরপর তিনি পুলিশের কাছে ব্যক্তিগতভাবে অভিযোগ জানান এবং ওই পিওনের অ্যাকাডেমিক রেকর্ড খতিয়ে দেখার দাবি জানান।
গত ২৬ এপ্রিল বিচারকের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের হয়। এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, সপ্তম শ্রেণির পর সরাসরি দশম শ্রেণির পরীক্ষায় বসেছিলেন ওই যুবক। সেই পরীক্ষায় তিনি ৬২৫-র মধ্য়ে ৬২৩ নম্বর পান। এদিকে, ওই যুবককে ডেকে পড়তে ও লিখতে বলা হলে, দেখা যায়, কন্নড়, ইংরেজি বা হিন্দি- কোনও ভাষাই পড়়তে বা লিখতে পারেন না তিনি।
যে পড়তে-লিখতে পারে না, সে কীভাবে সরকারি চাকরি পেল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারক। পুলিশের কাছে তিনি লোকারের হাতের লেখার সঙ্গে দশম শ্রেণির উত্তরপত্রের লেখনী মিলিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, ওই যুবক সাফাই দিয়ে জানিয়েছে, ২০১৭-১৮ সালে প্রাইভেটে দশম শ্রেণির পরীক্ষা দিয়েছিলেন। দিল্লি এডুকেশন বোর্ডের অধীনে সেই পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কর্নাটকের বাগালকোটে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন তিনি, এমনটাও জানান।





