Kerala Domestic Violence: স্বামীর অনিচ্ছা সত্ত্বেও ঋণ শোধ করতে চাকরি করেন স্ত্রী, মহিলার পরিণতি দেখল সোশ্যাল মিডিয়া
Domestic Violence: ইন্টারনেটে ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ার পর দিলীপ নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিরুবনন্তপুরম: এই সমাজে নারী পুরুষের অবস্থানের মধ্য যে কোনও ফারাক নেই, তা হয়তো অনেকেরই বোধগম্য হচ্ছে না। এমনই পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার শিকার হলেন কেরলের (Kerala Domestic Violence) এক মহিলা। চাকরি করার অপরাধে স্বামীর হাতে বেধড়ক মার ও শারীরিক নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হল তাঁকে। বুধবার কেরলে ২৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে মালাইঙ্কিজু থানার পুলিশ। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীকে মারধর ও গোটার ঘটনার ভিডিয়োগ্রাফি করার অভিযোগ উঠেছে। কেরলের তিরুবনন্তপুরম জেলায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ইন্টারনেটে ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ার পর দিলীপ নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে স্থানীয় সুপারমার্কেটের চাকরি ছাড়েননি দিলীপর স্ত্রী, সেই কারণেই তাঁকে মারধর করা হয়েছে। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়ো, যেখানে দিলীপ তাঁর স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করছে, সেখানে তাঁর স্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, “ঋণ শোধ করার জন্য আমাকে কাজে যেতেই হবে।” ভিডিয়ো নিগৃহীতা মহিলার মুখ থেকে রক্ত বের হতেও দেখা গিয়েছে।
নিগৃহীতা মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে মালাইঙ্কিজু থানার পুলিশ খুনের চেষ্টা সহ একাধিক অভিযোগে দিলীপকে গ্রেফতার করেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভিডিয়ো প্রকাশিত হওয়ার পর নেটিজ়েনদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছিল। দিলীপকে গ্রেফতারিরা দাবিতে সরব হয়েছিলেন তারা। শেষমেশ দিলীপের গ্রেফতারির পর মহিলার নিরাপত্তা নিয়ে আশ্বস্ত হয়েছেন তারা।
এর আগে জুন মাসে মধ্য প্রদেশে দেওয়াস জেলায় এক মহিলাকে মারধর করা হয়েছিল। জুতোর মালা পরে স্বামীকে কাঁধে করে নিয়ে হাঁটতে বাধ্য করা হয়েছিল ওই মহিলাকে। ওই মহিলার বিরুদ্ধে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছিল। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছিল, দেওয়াস জেলার বোরপাডাভ গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছিল। এই ঘটনা ১১ জন এবং বেশ কিছু অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিল পুলিশ।