তিরুবনন্তপুরম: সময়ের সঙ্গে মানবজাতি ক্রমশই মানবিকতার সংজ্ঞা ভুলে যাচ্ছে। তাই হয়ত সমাজের অবক্ষয় বারবারই নৃশংস রূপ ধারণ করে আমাদের চোখের সামনে চলে আসছে। আমরা সকলেই জানি মা নিজের প্রাণের বিনিময়েও সন্তানের ক্ষতি হতে দেন না। সন্তানের দিকে ধেয়ে আসা যাবতীয় বিপদ, সব খারাপগুলি নিজের দিকে টেনে নিতেই অভ্যস্ত মায়েরা। সমাজে বিরল হলেও মাঝে মাঝেই মায়েদের নৃশংসতার এমন দৃ্শ্য সামনে আসে, সেখান থেকেই সামাজিক অবক্ষয়ের প্রকৃত চিত্রটা চোখের সামনে চলে আসে। কেরলের এক ঘটনা মায়ের মাতৃত্ব নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিল (Kerala Rape Case)। ৫০ বছর বয়সী এক মহিলার বিরুদ্ধে তাঁর ১৬ বছর বয়সী মেয়েকে বারবার ধর্ষণে প্ররোচিত করার অভিযোগ উঠেছিল।
মা হয়ে মেয়ের ওপর এই নৃশংস নির্যাতনের জন্য তাঁকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালকে পর্যবেক্ষণ, মা সবসময়ই নিজের সন্তানকে রক্ষা করে, কিন্তু এই মহিলা স্বামীর শয্যাশায়ী হওয়ার সুবিধা নিয়ে তাঁর সন্তানরে শোষণে সাহায্য করেছেন এবং কিশোরীর জীবন শেষ করেছেন। কায়নাডু মুভাট্টুপুঝার বাসিন্দা ওই মহিলা ও তাঁর ৩৬ বছর বয়সী বন্ধু অরুণ কুমারকে এই ঘটনায় দোষী হিসেবে গণ্য করেছে আদালত। অরুণ কুমারকে ২০ বছরেরে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালতের মতে ওই মহিলা কোনও ধরনের সহমর্মিতা যোগ্য নন।
২০১৭ সালের মার্চ মাস থেকে অগস্ট মাস অবধি ওই কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছিল। অরুণ কুমারই এই ধর্ষণ করেছে বলে জানা গিয়েছে। অরুণ নিয়মিত ওই মহিলার বাড়িতে যেতেন এবং ওই কিশোরীকে ইদুক্কির পল্লীভাসালে নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্থা করতেন। তদন্ত চলকালীন পুলিশ জানতে পেরেছে যে ওই নির্যাতিতা কিশোরীর মায়ের প্ররোচণাতে অরুণ কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে। আদালত জানিয়েছে, “তিনি একজন কন্যা সন্তানের মা। সন্তানকে নিরাপদে না রেখে ধর্ষণে প্ররোচণা দিয়েছেন।” অভিযুক্তরা ভারতীয় দণ্ডবিধি ও পকসো আইনের একাধিক ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আদালতের নির্ধারিত জরিমানা নির্যাতিতাকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন Centre on Vijay Mallya: গ্রেফতারি নয়, টাকা ফিরিয়েই সন্তুষ্টি? বিজয় মালিয়াদের নিয়ে তথ্য দিল কেন্দ্র
আরও পড়ুন Ram Rahim: খুন, ধর্ষণে অভিযুক্ত রাম রহিমকে জ়েড প্লাস নিরাপত্তা, কারণ ব্যাখ্যা করলেন মুখ্যমন্ত্রী