জয়সলমের : পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন কলকাতার বিশিষ্ট সাংবাদিক তথা লেখিকা ঝিমলি মুখোপাধ্যায় পান্ডে। বুধবার জয়সলমেরের কাছে একটি পথ দুর্ঘটনায় (Road accident in Jaisalmer) মারা যান তিনি। ঝিমলি মুখোপাধ্যায়ের ছেলে, মা এবং গাড়ির চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত তিনজনকে নিকটবর্তী জওয়াহির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে প্রথমে তাঁদের চিকিৎসা শুরু হলেও পরে তাঁদের যোধপুরে (Jodhpur) স্থানান্তরিত করা হয়। জয়সলমের সদর থানা পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কীভাবে ওই পথ দুর্ঘটনাটি ঘটল, তার কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা।
দু’দিন আগেই পরিবারের সঙ্গে জয়সলমেরে বেড়াতে গিয়েছিলেন ঝিমলি মুখোপাধ্যায়। বুধবার জয়সলমের থেকে যোধপুরে ফেরার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। জয়সলমের থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ওয়ার মিউজিয়ামের কাছে বিকেল ৪ টে নাগাদ দুর্ঘটনার মুখে পড়েন তাঁরা। যোধপুরের দিক থেকে জয়সলমেরগামী একটি ছোট চারচাকার গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় লেখিকাদের গাড়ির।
সংঘর্ষের এতটাই প্রবল ছিল যে দুটি গাড়িই ফেটে যায়। দুর্ঘটনায় ঝিমলি মুখোপাধ্যায় ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাঁর ছেলে বৈভব পান্ডে, তাঁর মা বুলবুল মুখোপাধ্যায়, চালক ধ্রুবনীল গুরুতর আহত হন। উল্টোদিক থেকে আসা গাড়িটিতে যিনি ছিলেন তিনিও আহত হন। আহতদের সকলকে তড়িঘড়ি অ্যাম্বুলেন্সে করে জয়সলমেরের জওয়াহির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। ঝিমলি মুখোপাধ্যায়ের স্বামী দিনেশ পান্ডে ভাগ্যের জোরে রেহাই পেয়েছেন দুর্ঘটনা থেকে। ছেলে বৈভব পান্ডের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে যোধপুরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
বিশিষ্ট সাংবাদিক তথা লেখিকা ঝিমলি মুখোপাধ্যায়ের জন্ম কলকাতায়। দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে সাংবাদিকতার জগতে ছিলেন তিনি। বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষাতেই লিখতেন তিনি। এর পাশাপাশি শিশুদের জন্য ৮ টি বাংলা উপন্যাস এবং প্রায় ২৫ টি ছোট গল্প লিখেছেন ঝিমলি মুখোপাধ্যায়। তিনি ইংরেজিতে ‘দা গোস্ট অব গোসাই বাগান’ নামে একটি গ্রাফিক উপন্যাস লিখেছেন। এটি বিশিষ্ট সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের বাংলা উপন্যাস, গোঁসাই বাগানের ভূত অবলম্বনে রচিত। এর পাশাপাশি তিনি নারায়ণ দেবনাথের অনেক ক্লাসিক কৌতুক ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম নন্টে ফন্টে। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এবং সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একাধিক উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদ করেছেন তিনি। এ ছাড়া শশী থারুরের জনপ্রিয় উপন্যাস, দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান নভেলের বাংলা অনুবাদ আবার মহাভারত নামে লিখেছেন।
আরও পড়ুন : Omicron: করোনার শেষ! প্রাকৃতিক নিয়মে তৈরি ‘টিকা’ হয়ে উঠবে ওমিক্রন?