Coronavirus cases in India: যে কোনও মুহূর্তে দেশে লাগামছাড়া হতে পারে করোনা, পূর্বাভাস কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের
Cambridge University study: ভারতে কয়েক দিনের মধ্যেই কোভিড-১৯ আক্রান্তের হার লাগামছাড়াভাবে বাড়তে পারে। করোনার সংক্রমণের এক ঢেউ দেখা যেতে পারে, যাতে ব্যাপক সংখ্যায় মানুষ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই ঢেউ খুব বেশিদিন স্থায়ী বলে না বলেই অনুমান গবেষণায়।
নয়া দিল্লি : দেশের একাধিক বড় শহরের করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে। কলকাতায় দৈনিক সংক্রমণ হাজারেরও বেশি। মুম্বইয়ে দৈনিক সংক্রমণ ২ হাজারের আশেপাশে। পরিস্থিতি যথেষ্টই উদ্বেগজনক। সেই আশঙ্কা এবার আরও বাড়িয়ে দিল কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাম্প্রতিক গবেষণা। সেখানে বলা হচ্ছে, ভারতে কয়েক দিনের মধ্যেই কোভিড-১৯ আক্রান্তের হার লাগামছাড়াভাবে বাড়তে পারে। করোনার সংক্রমণের এক ঢেউ দেখা যেতে পারে, যাতে ব্যাপক সংখ্যায় মানুষ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই ঢেউ খুব বেশিদিন স্থায়ী বলে না বলেই অনুমান গবেষণায়। ১৪০ কোটির দেশে ওমিক্রনের এই ঢেউ যথেষ্ট উদ্বেগজনক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জাজ বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক পল কাট্টুমান ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে একটি ট্র্যাকার তৈরি করেছেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন, “সম্ভবত ভারতে দৈনিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে এক বিস্ফোরক বৃদ্ধি দেখা যেতে পারে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। এক্ষেত্রে আক্রান্তের সংখ্য বৃদ্ধির সময়কাল তুলনামূলকভাবে অনেকটা সংক্ষিপ্ত হবে।” উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেছেন, “কয়েক দিনের মধ্যে নতুন সংক্রমণ বাড়তে শুরু করবে, সম্ভবত এই সপ্তাহের মধ্যেই।” তবে দৈনিক সংক্রমণ কতটা বাড়তে পারে তা অনুমান করা কঠিন বলে মনে করছেন তিনি।
কাট্টুমান এবং তাঁর গবেষকদের দল, ভারতের কোভিড ট্র্যাকারে, দেশব্যাপী সংক্রমণের হার তীব্র হারে বাড়তে দেখা গিয়েছে। ট্র্যাকারটিতে ছয়টি রাজ্য়ের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। নতুন সংক্রমণের ক্ষেত্রে সামঞ্জস্যপূর্ণ বৃদ্ধির হার পাঁচ শতাংশেরও বেশি।
দেশে ক্রমশ বেড়েই চলেছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। মঙ্গলবারই দেশের ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০-র গণ্ডি পার করেছিল, একদিনেই তা প্রায় ৮০০-র দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Union Health Ministry)-র তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮১। দেশের মোট ২১টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই সংক্রমণ।
রাজ্য ভিত্তিক ওমিক্রন সংক্রমণের ভিত্তিতে শীর্ষে রয়েছে দিল্লি(Delhi)-ই। সেখানে এক ধাক্কায় ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৮-এ। এরপরই রয়েছে মহারাষ্ট্র(Maharashtra), সেখানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৭-এ। এছাড়া গুজরাট, কেরল, তেলঙ্গনা, রাজস্থান, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, হরিয়ানা ও পশ্চিমবঙ্গেও আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে।
নতুন বছরেই টিকাকরণ শুরু হবে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের (Vaccination for 15-18 years)। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, আগের টিকাকরণ কর্মসূচির মতোই এবারও কো-উইন (Co-WIN) প্ল্যাটফর্মে নাম নথিভুক্ত করলেই করোনা টিকা পাওয়া যাবে। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে এই নাম নথিভুক্তকরণের প্রক্রিয়া।
কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, ভারতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণের জন্য দুটি টিকা অনুমোদন দেওয়া হলেও, আপাতত কোভ্যাক্সিন (Covaxin) দিয়েই ছোটদের টিকাকরণ শুরু করা হবে। রাজ্যগুলিতে কীভাবে টিকাকরণ কর্মসূচি পরিচালিত হবে, তা নিয়ে মঙ্গলবারই বিশেষ বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব। রাজ্যগুলির সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর একাধিক পদক্ষেপেরও ঘোষণা করা হয়।