পটনা: শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবারই দিল্লির এইমস (AIIMS) হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হতে পারে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav)-কে। তাঁর সঙ্গেই পুত্র তেজস্বী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও যেতে পারেন দিল্লি।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় আত্মসমর্পণের পর ২০১৭ সাল থেকেই জেলবন্দি ছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। তবে মধুমেহ ও কিডনির সমস্যা থাকায় তাঁকে রাঁচীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সম্প্রতি তাঁর নিউমোনিয়াও ধরা পড়ে। এরপরই চিকিৎসকরা আরও তৎপর হয়ে ওঠেন। কিন্তু ক্রমশ্য অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দিতেই তাঁকে স্থানান্তরিত করা হতে পারে।
আজ জেল কর্তৃপক্ষের চিকিৎসকরা লালু প্রসাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর যে রিপোর্ট দেবেন, তার প্রেক্ষিতেই দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে স্থানান্তরিত করা হবে। তবে জেলবন্দি থাকার কারণে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য নিম্ন আদালতের কাছ থেকেও অনুমতি নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘বিশল্যকরণী’র জন্য মোদীকে ধন্যবাদ ব্রাজিল প্রেসিডেন্টের, ‘গর্বিত’ টুইট প্রধানমন্ত্রীর
শুক্রবারই লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav) জানান, বাবার ভাল চিকিৎসার জন্য তিনি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি বলেন, “আমরা সকলেই চাই উনি(লালু প্রসাদ যাদব) চিকিৎসা পান। কিন্তু চিকিৎসকরাই সমস্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেবেন যে এখানে রেখে তাঁর চিকিৎসা কতটা সম্ভব। বাবার শারীরিক অবস্থা গুরুতর, শনিবার আমি এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কথা বলব।”
লালু প্রসাদের বর্তমান স্বাস্থ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, “বাবার ইতিমধ্যেই বুকে অস্ত্রোপচার হয়েছে এবং তাঁর কেবল ২৫ শতাংশ কিডনিই সচল রয়েছে। একইসঙ্গে নিউমোনিয়াও ধরা পড়েছে। শ্বাসপ্রশ্বাস নিতেও সমস্যা হচ্ছে।”
গত বছরই ডিসেম্বর মাসে রাঁচীর রাজেন্দ্র ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, লালু প্রসাদের কিডনির মাত্র ২৫ শতাংশ কাজ করছে। যেকোনও সময়ে অবস্থার অবনতি হতে পারে। ২০ বছর ধরে মধুমেহ থাকার কারণে শরীরে নানা রোগও বাসা বেঁধেছে।
আরও পড়ুন: ‘৪ কৃষক নেতাকে খুন, ২৬ তারিখে ট্রাক্টর মিছিলে গুলি’, কৃষক আন্দোলন বানচাল করার পরিকল্পনা ফাঁস চক্রীর