AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘গো করোনা গো’-র পর এ বার ‘ভাগ করোনা ভাগ’, সংক্রমণ রুখতে মশাল হাতে মিছিল গ্রামে

গ্রামবাসীদের দাবি, প্রতিটি বাড়ি থেকে যদি একজন সদস্য জ্বলন্ত মশাল নিয়ে প্রতি রবিবার বা বুধবার গ্রামের সীমান্ত ধরে দৌড়ায় এবং শেষে জ্বলন্ত মশালটিকে গ্রামের সীমানার বাইরে ছুড়ে ফেলতে পারে, তবে তাঁদের পরিবারের সদস্যরা করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকবে।

'গো করোনা গো'-র পর এ বার 'ভাগ করোনা ভাগ', সংক্রমণ রুখতে মশাল হাতে মিছিল গ্রামে
মশাল হাতে গ্রামবাসীদের মিছিল। ছবি:টুইটার থেকে সংগৃহীত।
| Updated on: Apr 22, 2021 | 1:52 PM
Share

ভোপাল: গতবছরে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রীর মুখে শোনা গিয়েছিল “গো করোনা গো” স্লোগান। বছর ঘুরতেই এ বার মধ্য প্রদেশের একটি গ্রামের বাসিন্দাদের মুখে শোনা গেল নতুন স্লোগান। মশাল জ্বালিয়ে তাঁরা গোটা গ্রাম ঘুরে স্লোগান দিলেন “ভাগ করোনা ভাগ”। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশের আগার মালওয়া জেলার গণেশপুরা গ্রামে।

করোনার হাত থেকে বাঁচতে রবিবার রাতে গ্রামবাসীরা এই মিছিল বের করেন। হাতে মশাল নিয়ে গোটা গ্রাম ছুটে বেড়ান তাঁরা। মাঝা মাঝেই স্লোগান দেন “ভাগ করোনা ভাগ”। গোটা গ্রাম ঘোরার পর তাঁরা জ্বলন্ত মশালগুলিকে গ্রামের বাইরে ছুড়ে ফেলে দেন। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই প্রথা অনুসরণ করলেই করোনা তাঁদের গ্রামে পা-ও রাখবে না।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন করা হয়। তাঁরা জানান, গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তিরাই জানিয়েছেন যে প্রতিটি বাড়ি থেকে যদি একজন সদস্য জ্বলন্ত মশাল নিয়ে প্রতি রবিবার বা বুধবার গ্রামের সীমান্ত ধরে দৌড়ায় এবং শেষে জ্বলন্ত মশালটিকে গ্রামের সীমানার বাইরে ছুড়ে ফেলতে পারে, তবেই তাঁদের পরিবারের সদস্যরা সুরক্ষিত থাকবে।

গ্রামবাসীদের দাবি, বিগত কয়েকদিন ধরেই গণেশপুরা গ্রামে প্রতিদিনই কমপক্ষে একজনের মৃত্যু হচ্ছে। বহু বাসিন্দাদেরই জ্বর এসেছে। সেই কারণেই এই মিছিল করা হয়। রবিবারের মিছিলের পর নতুন করে কারোর অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি বলেই তাঁদের দাবি।

এর আগে গতবছর ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আথাওয়ালের মুখেও শোনা গিয়েছিল “গো করোনা গো” স্লোগান। তাঁকে সঙ্গ দিয়েছিলেন চিনের কাউন্সিল জেনারেলও। এরপরই বিতর্কের ঝড় ওঠে। বছর ঘুরতেই যেখানে দৈনিক সংক্রমণ তিন লাখের গণ্ডি পার করেছে, সেখানে ফের একবার বিজ্ঞান নয়, অন্ধবিশ্বাসের নিদর্শনই দেখা গেল।

আরও পড়ুন: টিকাকরণে ‘জাতীয় পরিকল্পনা’ কী? ‘আপদকালীন পরিস্থিতিতে’ কেন্দ্রের কাছে জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট