‘লকডাউন সমাধান নয়’, মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা বার্তা বিজেপি নেতার

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Mar 29, 2021 | 6:43 PM

গতবছরের লকডাউন(Lockdown)-র উদাহরণ টেনে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে চন্দ্রকান্ত পাটিল (Chandrakant Patil) বলেন, "রাজ্য়বাসী কীভাবে জীবনযাপন করেছেন, তা মাতোশ্রীতে বসে বোঝা সম্ভব নয়।"

লকডাউন সমাধান নয়, মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা বার্তা বিজেপি নেতার
চন্দ্রকান্ত পাটিল। ফাইল চিত্র।

Follow Us

মুম্বই: রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতেই রবিবার টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে(Uddhav Thackeray)। সেই বৈঠক থেকেই রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছিলেন,”কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। লকডাউনের জন্য প্রস্তুত থাকুন।” মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেই সোমবার বিজেপি সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিল (Chandrakant Patil) বলেন, “লকডাউন কোনও সমাধান নয়।”

এ দিন পুণের পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা। সেখানেই তিনি সাংবাদিকদের জানান, রাজ্য যদি লকডাউন জারি করা হয়, তবে কেবল বিজেপিই নয়, রাজ্যের সমস্ত ব্যবসায়ী সংগঠন ও কর্মীরাও বিরোধিতা করবেন।

তিনি বলেন, “করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউন কোনও সমাধান নয়। যদি লকডাউন জারি করা হয়, তবে আপনারা তো রাজ্যবাসীর জন্য কোনও আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করবেন না। বিগত এক বছরে সাধারণ মানুষ কীভাবে জীবনযাপন করেছেন, তা মাতোশ্রীতে বসে বোঝা সম্ভব নয়।” উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বাসভবনের নাম মাতোশ্রী।

আরও পড়ুন: মন্ত্রীর সঙ্গে অশ্লীল ভিডিয়ো: ‘যেকোনও সময়ে খুন হতে পারি’, নির্যাতিতার চিঠি প্রধান বিচারপতিকে

রাজ্যে লকডাউনের বদলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিকল্প পথ খোঁজার উপদেশ দেন বিজেপি নেতা চন্দ্রকান্ত পাটিল। তিনি বলেন, “নাইট কার্ফুতে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। রাতে কারোর বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে দিনে সাধারণ মানুষের গতিবিধি যেন প্রভাবিত না হয়।”

মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে তথা রাজ্যমন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে (Aditya Thackeray)-কে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আমাদের নাইট কার্ফুতে কোনও সমস্যা না থাকলেও, আপনার সঙ্গেই এমন কয়েকজন রয়েছেন, যাঁরা রাতের শহর জীবন উপভোগ করতে বাইরে যেতে চান।”

লকডাউন ঘোষণা হলে রাজ্যবাসীর জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের দাবি জানিয়ে চন্দ্রকান্ত পাটিল বলেন, “যদি একান্তই লকডাউন জারি করতে চান, তবে অনগ্রসর শ্রেণির প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবার পিছু প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা করুন। পরীক্ষা, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং ও রোগীদের চিকিৎসাই করোনা সমস্যা সমাধানের পথ, লকডাউন নয়।”

আরও পড়ুন: ‘লকডাউনের জন্য প্রস্তুত থাকুন’, হুঁশিয়ারি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর

Next Article