Anil Deshmukh Blames Shiv Sena: ‘বদলির তালিকা নিয়ে এসেছিলেন শিবসেনা নেতা’, ইডির কাছে বিস্ফোরক বয়ান অনিল দেশমুখের!
Anil Deshmukh Controversy: বুধবার ইডির তরফে অনিল দেশমুখকে প্রশ্ন করা হয়, পুলিশ অফিসারদের বদলির জন্য তিনি কারোর কাছ থেকে কোনও তালিকা পেয়েছিলেন কিনা। দেশমুখ জানান, শিবসেনা নেতা অনিল পরব ছাড়া অন্য কারোর কাছ থেকে তিনি বদলির জন্য চিঠি পেয়েছিলেন কিনা মনে করতে পারছেন না।
মুম্বই: ইডির প্রশ্নের চাপে অবশেষে মুখ খুললেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ (Anil Deshmukh)। নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি যে পুলিশকর্তাদের বদলির নোটিশ দিতেন, তার দোষ চাপালেন সরাসরি জোটসঙ্গী শিবসেনা(Shiv Sena)-র উপরই। বুধবার তিনি ইডি(ED)-র জেরায় জানান, রাজ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা নেতা অনিল পরবই তাঁকে পুলিশ অফিসারদের বদবির তালিকা দিয়েছিলেন, তিনি কেবল সেই তালিকা অনুযায়ী বদলির নির্দেশ দিয়েছিলেন।
মুকেশ অম্বানীর বাড়ির সামনে থেকে বোমা উদ্ধার ও তারপরে পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিংকে বদলির নির্দেশ দেওয়ার পরই সামনে চলে আসে দুর্নীতির পাহাড়। মুখ্য়মন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের কাছে চিঠি লিখে পরমবীর সিং জানান, মুম্বইয়ের বিভিন্ন বার, পাব থেকে প্রতি মাসে ১০০ কোটি টাকা তোলাবাজির নির্দেশ দিতেন অনিল দেশমুখ। তাঁকে এই কাজে সাহায্য করতেন অম্বানী কাণ্ডে অভিযুক্ত সচিন ভাজে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই একাধিক তদন্ত শুরু হয়। আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গত বছরের ২ নভেম্বর থেকেই বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ।
বুধবার ইডির তরফে জিজ্ঞাসাবাদে অনিল দেশমুখকে প্রশ্ন করা হয়, পুলিশ অফিসারদের বদলির জন্য তিনি কারোর কাছ থেকে কোনও তালিকা পেয়েছিলেন কিনা। এর জবাবই অনিল দেশমুখ জানান, শিবসেনা নেতা অনিল পরব ছাড়া অন্য কারোর কাছ থেকে তিনি বদলির জন্য চিঠি পেয়েছিলেন কিনা মনে করতে পারছেন না। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের পরিবহন মন্ত্রী অনিল পরব।
দেশমুখ আরও জানান যে, অনিল পরব যে তালিকা দিয়েছিলেন, তা সরকারি নয় এবং ওই তালিকায় কারের সাক্ষরও ছিল না। তিনি দাবি করেন, অনিল পরব ওই তালিকা কোনও বিধায়ক বা শিবসেনা নেতার কাছ থেকে পেয়ে থাকতে পারেন, উনি কেবল চিঠিটি পৌঁছনোর কাজ করেছিলেন।
ইডি আধিকারিকরা জানতে চান, অনিল পরবের দেওয়া ওই বদলির তালিকাই কি চূড়ান্ত বদলির তালিকা হিসাবে সরকারিভাবে প্রকাশ করা হত। এর জবাবে অনিল দেশমুখ জানান, ওই তালিকা পাওয়ার পর তিনি সেটি অতিরিক্ত মুখ্য় সচিব (স্বরাষ্ট্র)-র হাতে তুলে দিতেন এবং তিনি বাকি দিকগুলি যাচাই করে যথাযথ পদক্ষেপ করতেন।
অন্যদিকে, চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া পুলিশ ইন্সপেক্টর সচিন ভাজে ইডির কাছে দেওয়া বয়ানে বলেন, অনিল পরব ও অনিল দেশমুখ ২০ কোটি টাকা করে নিয়েছিলেন বদলির নির্দেশ বদলানোর জন্য। যে ১০ ডিসিপির বদলি আটকানো হয়, সেই ট্রান্সফার অর্ডার দিয়েছিলেন তৎকালীন মুম্বই পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিং।