Crime News: ৭ বছর ধরে পুলিশের নাগালে আসেনি টিকিও, ‘৩টি তারা’ই ধরিয়ে দিল খুনিকে!

Murder Case: সাত বছর আগে, ২০১৬ সালে শিব ও আরও তিনজন মিলে সুভাষ চন্দ্র ওরফে ভালু রামসাগর গুপ্তা নামক ২১ বছরের এক যুবককে খুন করেছিল।

Crime News: ৭ বছর ধরে পুলিশের নাগালে আসেনি টিকিও, '৩টি তারা'ই ধরিয়ে দিল খুনিকে!
প্রতীকী চিত্রImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 30, 2023 | 8:07 AM

পালঘর:  সামান্য ঝগড়া থেকে খুন। খুনের পর লুঠপাট করে পালিয়ে গিয়েছিল অপরাধী। বিগত সাত বছর ধরে গা ঢাকা দিয়েছিল, কিছুতেই নাগালে আসছিল না পুলিশের (Police)। অবশেষে একটা ট্যাটুই ধরিয়ে দিল অপরাধীকে। সাত বছর আগে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে ভিন রাজ্য থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাদের কাছে একমাত্র সূত্র ছিল, অপরাধীর শরীরের ওই ট্যাটু (Tattoo) ও আবছা ছবি (Blurry Image)।

অনেক সময়ই মৃতদেহ শনাক্তকরণে সাহায্য করে ট্যাটু। অপরাধীকে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রেও পুলিশি তদন্তে সাহায্য করে ট্যাটু। এমনটাই হল মহারাষ্ট্র পুলিশের সঙ্গেও। একটি ট্যাটুই ধরিয়ে দিল সাত বছর আগে খুনের মামলায় অভিযুক্ত অপরাধীকে। মঙ্গলবার পালঘর পুলিশের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, ২০১৬ সালে একটি খুনের মামলায় বিগত সাত বছর ধরে পলাতক ছিল প্রধান অভিযুক্ত। ট্যাটুর সূত্র ধরে সম্প্রতি অভিযুক্তকে উত্তর প্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার উত্তর প্রদেশের চিত্রকূট থেকে শিব ভায়া (২৮) নামক এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। সাত বছর আগে, ২০১৬ সালে শিব ও আরও তিনজন মিলে সুভাষ চন্দ্র ওরফে ভালু রামসাগর গুপ্তা নামক ২১ বছরের এক যুবককে খুন করেছিল।

জানা গিয়েছে, সামান্য কারণ নিয়ে বচসা হয়েছিল দুই পক্ষের। রাগের বশে গলা টিপে ভালুর হত্য়া করে অভিযুক্ত শিব। এরপরে তাঁর দেহ বস্তায় ভরে ফেলে দেয়। মৃত যুবকের কাছে থাকা যাবতীয় গয়নাগাটি লুঠ করে বাইক নিয়ে চম্পট দেয় শিব। কিছুদিন বাদে দেহ উদ্ধারের পর পুলিশি তদন্ত শুরু হয়। বাকি তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা গেলেও পলাতক ছিল শিব।

সম্প্রতিই পুরনো ওই মামলা নিয়ে ফের একবার নাড়াচাড়া শুরু হয়। তখনই পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর পেলে যে অভিযুক্ত উত্তর প্রদেশের চিত্রকূটে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযুক্ত শিবের কেবল একটি ঝাপসা ছবি ও হাতের ট্যাটুর ছবি ছিল। সেই ছবির উপরে ভরসা করেই উত্তর প্রদেশে হানা দেয় পুলিশ।

অভিযুক্ত পরিচয় গোপন করতে তাঁর হাতের ট্যাটু থেকে নাম সরিয়ে ফেললেও, তিনটি তারা রেখে দিয়েছিল। ট্যাটুর ওই অংশ দেখেই পুলিশ অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে ও গ্রেফতার করে।