Mamata Banerjee: মোদীর শপথের সময় মমতার ঘর অন্ধকার! ‘কেউ ধাক্কা মারল নাকি…’, সুকান্তর খোঁচা

Mamata Banerjee: মোদী ও নবগঠিত এনডিএ সরকারের মন্ত্রীরা যখন শপথ নিচ্ছেন, তখন কলকাতার কালিঘাটে অন্ধকারে ডুবে ছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা প্রাক্তন সাংবাদিক সাগরিকা ঘোষ। সুকান্ত মজুমদারের প্রশ্ন, 'আবার কেউ পিছন থেকে ধাক্কা-টাক্কা মারল নাকি?'

Mamata Banerjee: মোদীর শপথের সময় মমতার ঘর অন্ধকার! 'কেউ ধাক্কা মারল নাকি...', সুকান্তর খোঁচা
মোদীর শপথের সময় কেন অন্ধকারে মমতা? Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Jun 10, 2024 | 6:10 PM

কলকাতা: রবিবার (৯ জুন), আরও ৭১ জন মন্ত্রীর সঙ্গে, তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। মোদী ও মবগঠিত এনডিএ সরকারের মন্ত্রীরা যখন শপথ নিচ্ছেন, তখন কলকাতার কালিঘাটে অন্ধকারে ডুবে ছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবন। নরেন্দ্র মোদী সরকারের শপথ গ্রহণের সময়, সব আলো নিভিয়ে বাড়ি অন্ধকার করে বসেছিলেন মমতা। সোমবার (১০ জুন), সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা প্রাক্তন সাংবাদিক সাগরিকা ঘোষ। তাঁর দাবি, ভোটের ফলেই স্পষ্ট, ভারতের জনগণ নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই অবস্থায় তাঁর শপথগ্রহণকে এক কলঙ্কময় দিন বলে মনে করেছেন তৃণমূল নেত্রী। আর সেই কারণেই নয়া মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণের সময়টা ঘর অন্ধকার করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন মমতা।

এদিন, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “যারা নরেন্দ্র মোদীর “শপথ গ্রহণ” অনুষ্ঠান উদযাপন করছেন তাদের সকলের জন্য ভারতের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বার্তা দিয়েছেন। তিনি তাঁর বাড়ির সমস্ত আলো নিভিয়ে দিয়েছিলেন এবং তথাকথিত “অনুষ্ঠান” চলাকালীন পুরো সময়টা অন্ধকারে বসেছিলেন। এই অনুষ্ঠান ছিল এমন এক “প্রধানমন্ত্রী”-কে কেন্দ্র করে, যিনি ব্যাপকভাবে জনমত হারিয়েছেন এবং জনগণ তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেছে। বারাণসীতে প্রায় হেরে গিয়েছিলেন, অযোধ্যায় হেরে গিয়েছেন, পুরোপুরি মোদীকে কেন্দ্র করে প্রচার করা সত্ত্বেও তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি। বিজেপির উচিত একজন নতুন নেতা নির্বাচন করা।”

আগেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, নয়া মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাবেন না তিনি। জানিয়েছিলেন, তিনি এই অনুষ্ঠান বয়কট করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “আমি আমন্ত্রণ পাইনি, যাবও না।” সাগরিকা ঘোষও জানিয়েছিলেন, বিরোধীদের মতে, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার নৈতিক বৈধতা নেই নরেন্দ্র মোদীর। সেই কারণেই তিনিও রাষ্ট্রপতি ভবনে মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না। এরপর এদিন এই সোশ্য়াল মিডিয়া পোস্ট এল। সাগরিকা ঘোষের এই পোস্টের মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।কেউ কেউ তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন, আবার অন্যরা পাল্টা যুক্তিও দিয়েছেন।

এই বিষয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সদ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া সুকান্ত মজুমদার। এই বিষয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী আলো নিভিয়েছিলেন, দেখুন আবার তাঁর বাড়ির কেউ পিছন থেকে ধাক্কা-টাক্কা মারল কিনা। আপনাদের সেই খোঁজ নেওয়া দরকার। আলো নেভানোটা ওঁর জন্য সেফ নয়। উনি আলো জ্বালিয়েই থাকুন। সেটাই ভাল হবে। বাড়িতে কে কখন ধাক্কা মেরে দেবে, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য। তখন মুশকিল হয়ে যাবে। উনি সুস্থ থাকুন, এটাই আমরা চাই।”

শুধু বিজেপি সভাপতিই নন, নেটিজেনদেরও অনেকেই সাগরিকাকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পরও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। নরেন্দ্র মোদীও একাই ২৪০টি আসন জিতেছেন। আর তাঁর প্রাক-নির্বাচনী জোট নৈতিক এবং বৈধভাবে সরকার গঠন করছে।