AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

৬ বার ফেল! ৪ লক্ষ টাকা দিয়ে ডাক্তারকে পরীক্ষায় বসিয়েও শেষ রক্ষা হল না

সব কিছু পরিকল্পনা মতোই চলছিল। পরীক্ষাও (FMGE Exam)পার করা গেল। কিন্তু অসৎ পথে এগোল গেল না বেশি দূর।

৬ বার ফেল! ৪ লক্ষ টাকা দিয়ে ডাক্তারকে পরীক্ষায় বসিয়েও শেষ রক্ষা হল না
ফাইল চিত্র
| Updated on: Mar 13, 2021 | 12:33 PM
Share

নয়া দিল্লি: নকল ডাক্তার (Doctor) নিয়ে অনেক অভিযোগ উঠেছে আগেও। তাও তো ডাক্তার! তারাই তো ভগবান! তবে এমন একটা পেশায় কলঙ্কের দাগ লাগলে একটু অবাক হতে হয় বৈকি! যাঁকে নিয়ে কথা হচ্ছে তিনিও একজন এমবিবিএস (MBBS Degree) ডিগ্রিধারী। কিন্তু তিনি বছরের পর বছর পরীক্ষায় পা। করতে না পারায় ভাড়া করে আনলেন এক চিকিৎসককে। ৪ লক্ষ টাকা দিয়ে বসালেন পরীক্ষায়। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।

মনোহর সিং নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লির ডিসিপি (দক্ষিণ পূর্ব) আরপি মীনা জানিয়েছেন এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে তাঁর ডিগ্রিও বাতিল করা হয়েছে। নিয়ে নেওয়া হয়েছে অ্যাডমিট কার্ড।

তাজিকিস্তানের তাজিক স্টেট মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি পেয়েছেন তিনি। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী অন্য দেশ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি নিয়ে এলে ভারতে ডাক্তারি করার জন্য বিশেষ একটি পরীক্ষা দিতে হয়। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিলের অন্তর্ভুক্ত হতে দিতে হয় ফরেন মেডিক্যাল গ্র্যাজুয়েট এক্সামিনেশন নামে একটি পরীক্ষা দিতে হয়। আর সেই পরীক্ষায় কিছুতেই পাস করতে পারছিলেন না এই মনোহর সিং। ৬ বারের চেষ্টা ব্যর্থ। তাই অবশেষে মরিয়া হয়ে অসৎ পথ অবলম্বন করেছিলেন বলে জেরায় জানিয়েছেন তিনি।

তাঁর হয়ে পরীক্ষায় বসার জন্য এক চিকিৎসককে ধরে এনেছিলেন। ৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পরীক্ষা দিতে রাজি হয় সেই চিকিৎসক। পাশ করানোর গ্যারান্টিও দেন তিনি। সব কিছু পরিকল্পনা মতোই চলছিল। পরীক্ষায় পাশও করে যান মনোহর সিং। কিন্তু বাধ সাধল আইডি ভেরিফিকেশন। মিলছিল না বলে আটকে যায় পরীক্ষার ফলাফল।

আরও পড়ুন: ভয় বাড়াচ্ছে করোনা, মহারাষ্ট্র জুড়ে জারি কড়া লকডাউন

গত ১১ মার্চ পরীক্ষার বোর্ডের দুই আধিকারিক পুলিশের দ্বারস্থ হন। তাঁরা জানান গত বছরের ৪ ডিসেম্বর এই পরীক্ষা হয়। আইডি-র সঙ্গে পরীক্ষার্থীর মুখ না মেলায় মনোহর সিং নামে ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা চেষ্টা হয়। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি। এরপর ১০ মার্চ তিনি সংশ্লিষ্ট অফিসে আসেন। আর তখনই তাঁকে হাতে নাতে ধরে ফেলা হয়। এরপরই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে তৎপর হয়। ধৃত ব্যক্তি রাজস্থানের বাসিন্দা। জেরায় সব কথা পুলিশকে নিজেই জানিয়েছেন।

ওই ব্যক্তির সঙ্গে থাকা এমবিবিএস ডিগ্রি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তবে যে চিকিৎসক টাকার বিনিময়ে পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাঁকে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি, তিনি পলাতক।